এবারের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2019) একটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এবারই প্রথম পুরুষদের থেকে মহিলা ভোটারের (Women Voter) সংখ্যা বেশি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । কিন্তু বিভিন্ন তথ্য ঘাঁটলে দেখা যাবে মহিলা ভোটারের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারত। পরিসংখ্যান বলছে এবার নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে থাকতে চলেছেন ২ কোটিরও বেশি মহিলা যা শ্রীলঙ্কার মোট জনসংখ্যার সমান। ২০১১ সালের জন গণনা অনুসারে দেশে ১৮ বছরের বেশি বয়সী মহিলার সংখ্যা ৪৫ কোটির কিছু বেশি। আর ভোটার তালিকায় নাম আছে ৪৩ কোটি মহিলার। তার মানে বাদ পড়েছেন প্রায় ২ কোটি মহিলা। হরিয়ানা বা কেরালার মতো রাজ্যের মোট মহিলার সংখ্যা এর কাছাকাছি।
এসএসসির নিয়োগ- জট কাটাতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ল রাজ্য
আরও বিস্তারিত হিসেব বলছে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৩০ হাজারের কাছাকাছি মহিলা ভোট দিতে পারবেন না। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ! এ রাজ্যে ৮০টি লোকসভা কেন্দ্র আছে। দিল্লি দখল করতে প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই নজর থাকে উত্তরপ্রদেশের দিকে। আর এই রাজ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় ৮৫ হাজার মহিলা ভোটার ভোট দিতে পারবেন না! শতাংশের বিচারে পরিমাণটা প্রায় ৮ শতাংশ। তবে এই সংখ্যা কমে আসার নেপথ্যে চক্রান্ত দেখছেন না অনেকেই। প্রবীণ সাংবাদিক শেখর গুপ্তা মনে করেন বিষয়টি মোটের উপর সামাজিক।
গত নির্বাচনে অবশ্য ভোট দিতে না পারা মহিলার সংখ্যা ছিল আড়াই কোটি। এবার তা কিছুটা কমেছে। তবে শেখর মনে করেন এখন আধার কার্ডের পরিধি অনেক বেড়েছে তাই এবার এত পরিমাণ মহিলার নাম বাদ যাওয়া উচিত নয়। এদিকে নির্বাচন কমিশন বলছে এই ফাঁক ভরাটের চেষ্টা হচ্ছে। তবে এনডিটিভির সম্পাদকীয় পরামর্শদাতা দোরাব সোপরিওয়ালা বলেন, নির্বাচন কমিশনের অবস্থান সবচেয়ে উপরে। ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজটা হয় একেবারে স্থানীয় স্তরে। সেই সমস্ত প্রশাসনিক সংস্থার অদক্ষতা অবশ্যই একটি বড় কারণ।