স্পেশাল অবজারভার বা বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন
হাইলাইটস
- বাকি ছ’ দফার ভোটে রাজ্যে আসছে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
- এর আগে কখনও এত বাহিনী রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে মোতায়েন করা হয়নি
- রাজ্যের দুটি কেন্দ্রে ৮৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়
কলকাতা: রাজ্যের বাকি ছ'দফা নির্বাচনে প্রায় ৪১ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে এর আগে কখনও এত বাহিনী রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে মোতায়েন করা হয়নি। প্রথম দফায় রাজ্যের দুটি কেন্দ্রে ৮৪ কম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল আর দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটে থাকছে মোট ১৯৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং জলপাইগুড়ি এবং রায়গঞ্জে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে এত সংখ্যক বাহিনী আনার একটাই কারণ যাতে অন্তত ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যায় ।
রাষ্ট্রপতির জাত নিয়ে মন্তব্য করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষমা চাইতে বলল বিজেপি
বিরোধীরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার একেবারে গোড়া থেকেই দাবি করে আসছে রাজ্যের সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা দরকার। সেই দাবিকে মাথায় রেখেই এত সংখ্যক বাহিনী ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত এবং তারও আগে বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। এবার যাতে কোনভাবেই তেমন কিছু না হয় তা নিশ্চিত করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এই ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে বিএসএফ, এসএসবি, সিআইএসএফ এবং আইআরবি-র জওয়ানরা থাকবেন। দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে এই বিপুল পরিমাণ বাহিনীকে রাজ্যে নিয়ে আসতে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে কমিশন।
এদিকে রাজ্যে ভোটের কাজ পরিচালনা এবং পর্যালোচনা করতে স্পেশাল অবজারভার বা বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে কমিশন, তিনি কাজও শুরু করে দিয়েছেন।
রাজ্যের ৩টি সহ দেশের ৯৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কাল
প্রথম দফার ভোটে সামান্য হলেও কয়েকটি গোলমালের ঘটনা ঘটেছিল। বিজেপির মতো বিরোধী দলের দাবি কমিশন ঠিক করে কাজ করেনি। নিজেদের দাবিকে সামনে রেখে কমিশনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। গত সপ্তাহে রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় অভিযোগ করেন, তৃণমূল কর্মীরা গত কয়েকটি নির্বাচনে লাগামহীন সন্ত্রাস চালিয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আধিকারিকদেরও মারধর করা হয়েছে। এমতাবস্থায় রাজ্যের প্রতিটি বুথে সিসিটিভি বসাতে হবে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তা না হলে সুষ্ঠু ভাবে ভোট হতে পারে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আমরা একই দাবি করেছিলাম কিন্তু সে কথায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দেয়নি।
(সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সংযোজিত হয়েছে )
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)