অভিনেতা থেকে নেতা হওয়া পবন কল্যাণের দল জনসেনার সমর্থন সবার কাছে চিন্তার বিষয়।
হাইলাইটস
- এবার অন্ধ্রপ্রদেশে একই সঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট হবে
- মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর কাছে লড়াইটা কিছুটা হলেও অন্যরকম
- তাঁকে এবার একাই ওয়াই এস আর কংগ্রেসের মুখোমুখি হতে হবে
নিউ দিল্লি: এবার অন্ধ্রপ্রদেশে একই সঙ্গে লোকসভা (Lok Sabha Elections 2019) এবং বিধানসভা ভোট হবে। লোকসভার ২৫টি আসনের সঙ্গে বিধানসভার ১৭৫টি কেন্দ্র দখলের তৎপরতা শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে। এবার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর কাছে লড়াইটা কিছুটা হলেও অন্যরকম। তাঁকে এবার একাই ওয়াই এস আর কংগ্রেসের মুখোমুখি হতে হবে। বিজেপির সমর্থন তিনি পাবেন না। পাবেন না অভিনেতা থেকে নেতা হওয়া পবন কল্যাণের দল জনসেনার সমর্থনও। জোটের রাস্তায় না হেঁটে তিনটি দলই আলাদা আলাদা লড়াই করছে এবার। ২০১৪ সালের ভোটের তথ্য বলছে শাসক আর বিরোধীদের মধ্যে ভোট শতাংশে খুব একটা ফারাক নেই। শাসক পেয়েছিল ৪৭.৭ শতাংশ ভোট আর বিরোধীরা পেয়েছিল ৪৫.৪ শতাংশ ভোট। মানে ২ শতাংশের মতো ভোট বেশি পেয়েছিল টিডিপি।
একদা অন্ধ্রপ্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি ছিল। কিন্তু ইউপিএ সরকারের আমলে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে নতুন রাজ্য হওয়ার পর সেই জনভিত্তি নড়ে গিয়েছে। সাম্প্রতিক কালে প্রাপ্ত ভোটের হার কমে হয়েছে ২ শতাংশের একটু বেশি।
জাতি এবং শিক্ষার ভিত্তিতে অন্ধ্রপ্রদেশের ভোট বিভাজন।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৫ টির মধ্যে ১৫ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। জগমোহন রেড্ডির ওয়াইএস আর কংগ্রেস ৮টি এবং বিজেপি ২ টি আসন পেয়েছিল।
কোন দলের শক্তি কোন জায়গায়।
তথ্য আরও বলছে মাত্র ৫ শতাংশ ভোট এদিক- ওদিক হলেই অন্ধ্রপ্রদেশের ফল অন্যরকম হয়ে যাবে। ২২টি আসন দখল করে ফেলবে টিডিপি।
ভোট শতাংশে সামান্য অদল-বদল হলে ফল অন্য রকম হবে।
এই নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছেন পবন কল্যাণ। বড় পর্দার অতি জনপ্রিয় অভিনেতা রাজনীতিতে এসে নিজের জায়গা করেছেন। তাঁর ভক্তদের ভোট কোনদিকে যায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে। গতবার টিডিপি- বিজেপি জোটের অংশ ছিল জনসেনা। কোনও আসনে না লড়লেও সমর্থন করেছিল। এবার তারা লড়ছে এবং কমকরে ১০ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জনসেনা দলের নেতা পবন কল্যাণ।
প্রথম দফায় ১১ এপ্রিল অন্ধ্রপ্রদেশের সব আসনে ভোট হচ্ছে।