আপ-কংগ্রেসের জট ছাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে চেষ্টা করবেন বলা হচ্ছে।
নিউ দিল্লি: মে মাসে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে, পুলওয়ামা(Pulwama) এবং বালাকোটে বিমান হানার পর আবার নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করতে পারে বিরোধীদলগুলি(Grand Alliance)।
কয়েক সপ্তাহ আগে, একাধিক অসঙ্গতি দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের মধ্যে, রাজ্যের রাজনৈতিক শত্রুতা ভুলে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছিল বিরোধী দলগুলি। কয়েকটি দল ভাবনা চিন্তার পর্যায়ে ছিল বলে সূত্রের খবর।
জানা গেছে, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর(Chandrababu Naidu) তরফে রাহুল গান্ধীকে(Rahul Gandhi) আবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের(Arvind Kejriwal) সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করা হয়েছে। দুই রাজ্যেই একে অপরের বিরোধী দল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তাঁর দলের সঙ্গে জোট গড়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দিল্লির ৭ টির মধ্যে ৬ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তিনি।
আপ-কংগ্রেসের জট ছাড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে চেষ্টা করবেন বলা হচ্ছে।।দিল্লিতে বিরোধীদের সভা করার পর, সাংবাদিকদের বলেন, দিল্লিতে একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং রাহুল গান্ধীকে।
কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে বিরোধী জোটের(Grand Alliance) মধ্যে উদাহরণ তৈরি করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র মারফৎ জানা গেছে, রাজ্যের ৪২ আসনে সমঝোতা করতে পারে দুই দল।
রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে ৬ টি আসনে সমঝোতা করার কথা বলেছে তৃণমূলের প্রধান বিরোধী দল সিপিএম। জানা গেছে, যে সমস্ত আসনে তাদের প্রার্থী রয়েছে, সেখানে তারা প্রার্থী দেবে না বলে জানিয়েছে সিপিএম।
২০১৪ সালে জেতা দুটি আসন ছাড়বে না সিপিএম।এর মধ্যে রয়েছে রায়গঞ্জ, যেটি দুই দলের কাছেই অন্যতম কেন্দ্র।রায়গঞ্জ থেকে তিনবারের সাংসদ দীপা দাশমুন্সি এবং বর্তমান সাংসদ সিপিএমের মহম্মদ সেলিম।