মধ্য দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Congress President Rahul Gandhi)। নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেঁটেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে যান রাহুল। তাঁর সঙ্গে অন্য দিন যে নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি থাকে আজ সে সব ছিল না। ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বললেন, ‘এবারের নির্বাচনে উপভোগ্য লড়াই হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) ঘৃণা প্রচার করেছেন। আর আমি ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেছি। আমার মনে হয় শেষমেশ ভালোবাসার জয় হবে। মানুষ আমাদের মালিক। মানুষ যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা তা মেনে নেব।' রাহুল দিল্লির তুঘলক লেনের বাড়িতে থাকেন। আর তাঁর ভোট গ্রহণ কেন্দ্র ঔরঙ্গজেব লেনে। দূরত্ব খুব বেশি না হওয়ায় হেঁটেই যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নিউ দিল্লি আসনের (New Delhi loksabha Seat) কংগ্রেসের প্রার্থী অজয় মাকেন।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত মাকেনই দিল্লি কংগ্রেসের দায়িত্বে ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে তাঁকে সরিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে প্রদেশ সভাপতি পদে নিয়ে আসা হয়। এবার অজয় মাকেনের পাশাপাশি শিলাও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাংবাদিকদের রাহুল আরও জানান, এবারের লোকসভা নির্বাচনের চারটি প্রধান ইস্যু আছে। সেগুলো আমাদের তৈরি নয় সাধারণ মানুষের তৈরি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হল বেকারত্ব। তারপরেই বলতে হবে কৃষকদের দুরাবস্থা এবং নোটবন্দি ও জিএসটির কথা। রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে সেটাও এই নির্বাচনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
দিল্লিতে ৭ লোকসভা আসনের লড়াই হচ্ছে। দীর্ঘ আলোচনার পরও কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির মধ্যে কোনও জোট হয়নি। তিনটি দলই আলাদা করে প্রার্থী দিয়েছে। রাহুলের পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ওই একই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভোট দিতে আসেন।
এবার দুটি লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। এর মধ্যে একটি তাঁর ১৫ বছরের ‘কর্মভূমি' উত্তরপ্রদেশের অমেঠী অন্যটি কেরালার ওয়ানড়। দু'জায়গাতেই ভোট হয়ে গিয়েছে। ২০১৪ সালে অমেঠী কেন্দ্রে রাহুলের বিপক্ষে ভোটে লড়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপির দাবি এই কেন্দ্রের নিজের হার নিশ্চিত জেনে অতিরিক্ত আসন থেকে লড়াই করছেন রাহুল।