খাতায় কলমে রাজনৈতিক জীবন শুরুর আগে পরিবর্তনের বার্তা দেন প্রিয়াঙ্কা
হাইলাইটস
- নেতা- কর্মীদের সঙ্গে সারারাত বৈঠক করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
- পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েছেন সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা
- দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত মোট ১৬ ঘণ্টা বৈঠক করেন তিনি
New Delhi: কীভাবে নির্বাচন করলে জেতা সম্ভব তা বুঝতে পারছি। কংগ্রেস নেতা- কর্মীদের সঙ্গে সারারাত বৈঠকের পর এ কথা জানান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েছেন সম্প্রতি। তারপর দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টানা 16 ঘণ্টা বৈঠক করলেন প্রিয়াঙ্কা। ভোর সাড়ে পাঁচটার সময় বৈঠক শেষ হয়। এদিনের বৈঠকে জেলার সভাপতি ছাড়াও কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা উপস্থিত ছিলেন। গান্ধী পরিবারের দীর্ঘদিনের আসন অমেঠি এবং রায়বরেলীতে দলের কাজ সামলে চালা নেতারাও হাজির ছিলেন। কয়েক দিন আগে লখনউয় যান প্রিয়াঙ্কা। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও।
সেদিন রোড শো করেন দু'জন। তার আগে খাতায় কলমে রাজনৈতিক জীবন শুরুর আগে পরিবর্তনের বার্তা দেন প্রিয়াঙ্কা। শক্তি অ্যাপের মাধ্যমে সমর্থকদের প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমি চাই আমাদের সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন আসুক। রাজনীতির পরিসর এমন হোক যেখানে সকলে নিজেকে তার অংশ ভাবতে পারে।
আরও পড়ুনঃ এসব চলতেই থাকবে, স্বামীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রিয়াঙ্কার
এই তিন নেতা লখনউ বিমান বন্দরে এসে নামেন। সেখান থেকে তাঁদের স্বাগত জানিয়ে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে লখনউ শহরের কংগ্রেসের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামী তিন চার দিন উত্তরপ্রদেশেই থাকছেন প্রিয়াঙ্কা। বিভিন্ন এলাকার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সংগঠনের হাল হকিকত বুঝে নেবেন তিনি। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ৮০ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৪০ টি নিয়ে বৈঠক করবেন বলে খবর। এরপর দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর। তবে এই সফরে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি জায়গাতেও যেতে পারেন।
তাঁকে ঘিরে আশায় বুক বাঁধছে কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল ভাল হয়নি মোটেই। বিধানসভা নির্বাচনে জোট করেও সুফল পায়নি কংগ্রেস। এবার আবার বিজেপি বিরোধী জোটে ঠাই হয়নি কংগ্রেসের। এমতাবস্থায় উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল করতে প্রিয়াঙ্কার উপরেই আস্থা রাখছে কংগ্রেস। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ একদা কংগ্রেসের গড় ছিল। জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জিততেন এই এলাকা থেকে। তবে গত কয়েক দশকে এখানে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপিও।