কমিশনের কাজকর্মে ত্রুটি পেলেন না দেশের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি।
হাইলাইটস
- ‘ত্রুটিমুক্ত ভোট আয়োজন করে’ প্রণবের প্রশংসা পেল নির্বাচন কমিশন
- নতুন করে ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা
- পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতাও এখন প্রশ্নের মুখে
নিউ দিল্লি: নির্বাচনী প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। সবে ভোটগ্রহণপর্ব মিটেছে। ভোট গণনা থেকে শুরু করে আরও অনেক কাজ এখনও বাকি। এরই মধ্যে নতুন করে ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের (Election Commision) নিরপেক্ষতাও এখন প্রশ্নের মুখে। উঠেছে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালন করতে না পারার অভিযোগ। কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট (Biased) বলতেও ছাড়েনি বিরোধী শিবির। কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলির এ ধরনের দাবির মাঝেই সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থান নিলেন দেশের প্রাক্তন এবং এ পর্যন্ত একমাত্র বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় (Former President Pranab Mukherjee )।
প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল; রাজ্যে মোট পাসের হার ৮৬.০৭ %
এনডিটিভির এডিটোরিয়াল ডিরেক্টর সোনিয়া সিংয়ের লেখা বই ‘ইন্ডিয়া থ্রু দেয়ার আইজ'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে প্রণব বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের দেশের সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে (Constitutional Institutions) মজবুত করতে চাই তাহলে মনে রাখতে হবে এ ধরনের সংস্থা আসলে দেশের কাজে লাগে। আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি সাফল্য পেয়ে থাকে তাহলে তার সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে নির্বাচন নির্বিঘ্নে আয়োজন করতে পারার বিষয়টি। সে ব্যাপারে সুকুমার সেন (দেশের প্রথম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার) থেকে শুরু করে এখনকার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) সকলেরই ভূমিকা রয়েছে। তাঁরা নিজেদের কাজ ঠিক করে পালন করছেন। তাঁদের সমালোচনা করা যায় না। নির্বাচন আয়োজনে কোনওরকম ত্রুটি হয়নি। দেশের সংস্থাগুলি নিজেদের মতো কাজ করছে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় সেগুলি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যার কাজের দক্ষতা নেই সে যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যার কাজের দক্ষতা আছে সে জানেক কোন যন্ত্রকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়।'
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ রুখতে অনলাইনে ছাত্র ভর্তির নিদান দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন প্রণব। ইউপিএ সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তখনই রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর নাম উঠে আসে। শেষমেষ কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা দেশের ত্রয়োদশী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ইতি পড়ে রাজনৈতিক জীবনে। এই অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ৬৭. ৩ শতাংশ মানুষ লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এই সংখ্যাটা মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই সকলকে ভোট দিতে হয়।' প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি যখন নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করছেন তখনই বিরধিতায় সরব রাজনৈতিক দলগুলি। কমিশনের একাধিক পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে বিরোধী দলের প্রায় সমস্ত নেতাই প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। ভোট চলার মাঝেই কমিশন যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথে সফর করার সুযোগ দিয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পাশাপাশি একাধিকবার আদর্শ আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগ উঠলেও প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। এ ধরনের বিষয়কে সামনে রেখে কমিশনের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি কিন্তু তাদের কাজকর্মে ত্রুটি পেলেন না দেশের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি।