২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বোলপুর থেকে জয়ী হন অনুপম হাজরা।
নিউ দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha election) চতুর্থ দফার দিন সোমবার দুপুরবেলা বীরভূমে ভোট চলাকালীনই তাঁর প্রিয় ‘কেষ্টকাকু'র সঙ্গে দেখা করে মধ্যাহ্নভোজ সারার পর দলের তোপের মুখে পড়লেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা (Anupam Hajra)। সোমবার দুপুরে বেলা দেড়টা নাগাদ তৃণমূল পার্টি (TMC) অফিসে বিজেপির উত্তরীয় গলায় ঝুলিয়ে হাজির হন অনুপম। ওই সময়ে পার্টি অফিসে উপস্থিত ‘কেষ্টকাকু' (অনুব্রত মন্ডল)-কে প্রণামও করেন তিনি। তারপর তৃণমূল পার্টি অফিসে বসেই আলুপোস্ত খেতে চেয়ে ‘আবদার'ও করেন বিজেপি প্রার্থী। সেখানেই মধ্যাহ্নভোজটিও সারেন ‘দলবিরোধী কাজ'-এর জন্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে গত মাসেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়া তথা ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃণমূল সাংসদ হওয়া অনুপম হাজরা।
ওয়ানাড়ে রাহুলের মনোনয়ন নিয়ে মোদীর তোপ বিধিলঙ্ঘন নয়: নির্বাচন কমিশন
যদিও, অনুপম জানান, তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মন্তলের সম্পর্ক ‘ব্যক্তিগত'। আর অনুব্রত সম্প্রতি নিজের মা'কে হারিয়েছেন। তাই ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ'-এর জন্যই তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “আমি যখন তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে কেষ্টকাকুর চেম্বারে ঢুকলাম, তখন দেখলাম, সংবাদমাধ্যমেরও কয়েকজন ওখানে দাঁড়িয়ে আছেন। এটা পুরো পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছিল। আমি এই নোংরা রাজনীতিটা বুঝতে পারিনি। এটি ইচ্ছাকৃতভাবে যাদবপুরের বিজেপি কর্মীদের মনে সংশয় সৃষ্টির জন্য করা হয়েছে”।
তিনি আরও বলেন, “আমি সত্যিই বুঝতে পারি না যে, একজন মানুষের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতিটা করা হয় কেন? এতটা রাজনীতি সত্যিই বুঝতে পারি না”।
কিন্তু, যাঁর সঙ্গে অনুপমের দেখা করা নিয়ে এত হইচই সেই অনুব্রত মন্ডল কী বলছেন? তিনি অনুপমকে পাশে বসিয়ে গতকালই বলেছিলেন, “অভিমান হয়েছে ঠিকই, তবে ও চাইলে ফিরিয়ে নিতে পারি দলে। আরে লোকসভা গেলে কী হবে! এখনও তো রাজ্যসভা আছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলে এ বারই ওকে প্রার্থী করে দিতাম”। দল ছেড়ে বেরিয়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া অনুপমকে অনুব্রত মন্ডলই খেয়ে যেতে বলেন। তারপর নিজেও ভোটের ব্যস্ততার মাঝে মধ্যাহ্নভোজ সারেন।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনুপম হাজরা বলেছেন যে, এটি একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সেটা ঠিক আছে। তবে, এই সাক্ষাৎ'টি অন্যদিনও হতে পারত। আমাদের দলে সবসময়ই একটা ডিসিপ্লিন মেনে চলাই রেওয়াজ”।