বীরভূমে (Birbhum) ভোটের আগের দিন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তাঁকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে তৃণমূল (tmc)। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট জানায় সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। তারা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার উপর আদালতের কিছু বলার থাকতে পারে না। তিন সপ্তাহ বাদে আবার এই মামলার শুনানি হবে। তার আগে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এ সংক্রান্ত হলফনামা দিতে হবে। আজ বীরভূমের দুটি কেন্দ্র সহ রাজ্যের আরও ৬টি কেন্দ্রে লোকসভা ভোট হচ্ছে। এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন জানায় অনুব্রত মণ্ডলকে তাদের নজরবন্দি হয়ে থাকতে হবে। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, তার উপর নজরদারি চালাবে কমিশন।
বেড টি পেতে দেরি, আসানসোলে কী হয়েছে জানতেই পারলেন না মুনমুন
বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ করেছে বীরভূম জেলায় সুষ্ঠুভাবে ভোট করতে প্রথম প্রতিবন্ধকতা অনুব্রত। তাই তাঁকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিজের নামে থাকা ফোনও জমা দিয়ে দিয়েছেন কমিশনে। তবে কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে মোটেই গুরুত্ব দিতে রাজি নন অনুব্রত। সংবাদমাধ্যমে গতকাল সন্ধে থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত একাধিকবার তিনি বলেছেন, ভোট যেভাবে করাবেন ভেবেছিলেন সেভাবেই করাচ্ছেন। আর তাঁর অনেক ফোন আছে তাই একটা নিয়ে কিছু সুবিধা হবে না। ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ ভোট দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। গতকাল থেকেই তাঁকে নজরবন্দি করেছে নির্বাচন কমিশন। দলীয় কর্মীর মোটর বাইকে চড়ে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে যান তিনি। ভোট দিয়ে বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে যান তিনি। আজ দিনের বাকিটা তো বটেই কাল সকাল পর্যন্ত এভাবেই নজরবন্দি থাকতে হবে তাঁকে।
এদিকে এই বীরভূমের নানুর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপি কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেন, তৃণমূলের কয়েকজন তাদের ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে না. আর তারই পাল্টা হিসেবে তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)