হাইলাইটস
- জেলা শাসককে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব বিজেপি
- নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে এ ব্যাপারে নালিশ জানিয়েছে বিজেপি
- পরপর দুদিন বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার সভার অনুমতি বাতিল করেছে প্রশাসন
কলকাতা: দলের শীর্ষ নেতাদের সভার অনুমতি বাতিল হওয়ার ঘটনাকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দ্বারস্থ হল বিজেপি। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে (CEO, Bengal ) গিয়ে এ ব্যাপারে নালিশ জানিয়ে আসা হয়েছে। পরপর দুদিন বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার সভার অনুমতি বাতিল করেছে প্রশাসন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ (BJP President Amit Shah) রাজ্যে আসেন সোমবার। দুই চব্বিশ পরগনার জয়নগর বারাসতে সভাও করেন তিনি। এই দুটি জায়গা ছাড়া যাদবপুরেও সভা করার কথা ছিল বিজেপি সভাপতির। কিন্তু বিজেপির দাবি একেবারে শেষ মুহূর্তে সভার অনুমতি বাতিল করে দেয় রাজ্য প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের সবচেয়ে বড় বিপদ: মমতা
বিজেপি সভাপতি জয়নগর থেকে এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘মমতা ভাবলেন ওই সভাটা হলে পাশের কেন্দ্রের প্রার্থী তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও হেরে যেতে পারেন। সেই ভয়ে সভার অনুমতি বাতিল করে দিলেন।' পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, ‘দিদি বাংলায় দাঁড়িয়ে আমি জয় শ্রীরাম বলছি। ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন।' কয়েক দিন আগে জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিয়ে একটি বিতর্ক হয়। আরও একবার সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিশানা করলেন বিজেপি সভাপতি।
বিজেপি সভাপতির পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাল বুধবার বেহালার জেমস লঙ সরণিতে সভা করার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনের তরফে অনুমতি না মেলায় সভা বাতিল হয়েছে। পর পর সভা বাতিল হওয়ার ঘটনাকে চক্রান্ত হিসেবেই দেখছে বিজেপি। এবার এই দাবি নিয়ে এই কমিশনের দ্বারস্থ হল তারা।
শেষ দফায় রাজ্যের মোট ৯টি কেন্দ্রে ভোট হবে। সেই ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপির সুনীল দেওধর। ত্রিপুরা বিজেপির এই পর্যবেক্ষককে শেষ দফার ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যে পাঠিয়েছেন মোদী-শাহরা। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরে গিয়ে দেখা করে তিনি এ সংক্রান্ত অভিযোগ জানান। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘' মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের জোরে ভোট লড়ছেন। তিনি জানেন মানুষের সমর্থন তাঁর সঙ্গে নেই। তাই বিজেপির নেতাদের সভা বাতিল করছেন।' পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ দক্ষিণ 24 পরগনা জেলাশাসক রত্নাকর রাও তৃণমূলের এজেন্টের ভূমিকা পালন করছেন। নির্বাচন করতে যে নিরপেক্ষতা দরকার তা তাঁর নেই। তাঁকে যাতে সরিয়ে দেওয়া হয় সে দাবিও করেছেন সুনিল দেওধর।
অমিত শাহের সভার অনুমতি “মেলেনি”, তরজায় তৃণমূল-বিজেপি
সভার অনুমতি বাতিল নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর আগে থেকেই বিজেপির নেতাদের সভা বাতিল করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তবে প্রশাসন বরাবরই অভিযোগ থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে। যাদবপুরে অমিতের সভা বাতিল নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। বাংলার শাসক শিবিরের দাবি প্রশাসন এই সভার অনুমতি বাতিল করেনি। বিজেপি জানে লোক হবে না। সেই ভয়ে নিজেরাই সভা করেনি।