৭৫ পেরিয়ে যাওয়া কোনও নেতাকে যে পদ দেওয়া হচ্ছে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি।
হাইলাইটস
- জীবনের ৯১টি বসন্ত পার করে আসা আডবাণী এখন দেশের প্রবীণতম সাংসদ
- আডবাণী বা যোশি কাউকেই মোদী মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি
- একটা সময় শোনা গিয়েছিল আডবাণী স্পিকার হতে চান। শেষমেশ সেটাও হয়নি
নিউ দিল্লি: আগামী লোকসভা নির্বাচনে কি ভোটের ময়দানে দেখা যাবে বিজেপির দুই প্রবীণ নেতাকে? এই প্রশ্ন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলানো মুরলীমোহন যোশির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তাঁরা ভোটে লড়বেন কিনা। তবে ভোটে লড়লেও ৭৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া কোনও নেতাকে যে পদ দেওয়া হচ্ছে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছে বিজেপি। জীবনের ৯১টি বসন্ত পার করে আসা আডবাণী এখন দেশের প্রবীণতম সাংসদ। নিজের বহুকালের গান্ধী নগর আসন থেকেই ২০১৪ সালে জিতেছিলেন। আর ওই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর জন্য বারাণসীত থেকে সরে যান মুরলী মনোহর যোশি। তিনি কানপুর আসন থেকে জিতে এসেছেন।
“আমি তাঁর সঙ্গে লড়াই করব, কিন্তু তাঁকে ঘৃণা করি না” প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্য রাহুল গান্ধীর
দলের দুই প্রবীণ নেত্রী বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতী আগেই জানিয়েছেন শারীরিক কারণে ভোটে লড়বেন না। কিন্তু আডবাণী বা যোশিকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সূত্রের খবর এ ক্ষেত্রে পার্টির নির্দেশ মেনে নেবেন যোশি।
দেশের কয়েক কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রীর লেখা ব্যক্তিগত চিঠি
২০১৪ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। কিন্তু সেবার আডবাণী বা যোশি কাউকেই মোদী মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়নি। তাঁদের মার্গদর্শক মণ্ডলীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরামর্শ দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই এই কমিটির। শুধু তাই নয় গত চার বছরে বৈঠকেও বসেনি দলের এই মণ্ডলী। একটা সময় শোনা গিয়েছিল আডবাণী স্পিকার হতে চান। শেষমেশ সেটাও হয়নি।
কংগ্রেসের পোস্টারে ‘দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ' কি আদৌ মেনে নেবেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী? প্রশ্ন বিজেপির
এই প্রবীণ নেতাদের অনেকেই মোদী সরকারের নীতির বিরোধিতা করেছেন। বছর চারেক আগে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দলের নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি লেখেন আডবাণী সহ কয়েকজন।
এতদিন যাই হয়ে থাক না কেন এবার বিজেপির পক্ষে যোশি বা কলরাজ মিশ্রর মতো নেতাকে ‘উপেক্ষা' করা সম্ভব নয় বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে কংগ্রেস যেভাবে উত্তরপ্রদেশে সংগঠন বাড়াচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপিকেও বিকল্প কিছু একটা ভাবতে হবে বলে মনে করে তারা।