হাড়োয়া: রবিবার দেশজুড়ে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ পর্ব। তারসঙ্গেই এ রাজ্যের ৮ আসনে ভোটগ্রহণ পর্ব। এবার ভোট হবে জঙ্গলমহলের আসনগুলিতে। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ছে ভোটের উত্তেজনার পারদও। বঙ্গভূমি উত্তপ্ত হচ্ছে তৃণমূল-বিজেপি বাক-তরজায়। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ দিনে দিনে ক্রমশই ধারালো করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার হাড়োয়ার জনসভায় তাঁর বার্তা, উত্তরপ্রদেশে আসন কমবে বিজেপির, পাশাপাশি ৭ রাজ্যে শূন্য হবে তারা। রবিবার হাড়োয়ায় বসিরহাটের প্রার্থী নুসরত জাহানের প্রচারসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোথা থেকে সংখ্যা পাবে বিজেপি? উত্তরপ্রদেশে তাদের সংখ্যা ৭৩ থেকে ১৩ বা ১৭ এ নেমে আসবে। অন্যদিকে, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পঞ্জাব, ওড়িশায় তারা শূন্য হয়ে যাবে”।
রবিবার জঙ্গলমহল সহ রাজ্যের ৮ আসনে ভোটগ্রহণ
মোদী আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করে সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রের সরকার গঠনে তৃণমূল কংগ্রেস উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে আগেও দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হাড়োয়ার সভা থেকে রাজ্যের শাসকদলের প্রধাননেত্রী বলেন, “বাংলায় ৪২ আসনের সবকটি আসনেই তৃণমূলকে জিততে হবে, যাতে কেন্দ্রে সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া যায়”।
বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমরা বিজেপিকে চাই না।ভোট দিয়ে এই সরকারকে বের করে দিন”।
পুরুলিয়ায় লাল মাটিতে জোর টক্কর তৃণমূল-বিজেপির
বিজেপি, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসকে এক সারিতে বসিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেউ কেউ সকাল বিজেপিকে সমর্থন করছে, বিকেলে কংগ্রেস, এবং রাতে সিপিআইএম। তাই এই তিনজনের মধ্যে কাউকেই ভোট দেওয়া অপচয়। তৃণমূলেরই একমাত্র ক্ষমতা আছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার”।
হাড়োয়ার সভা থেকে রাজ্যের শাসকদলের সুপ্রিমো বলেন, “গোটা দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে বিজেপি।রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, সিবিআই, আয়কর, ইডির মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে...অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের সংস্থান না করে, যোজনা কমিশন ভেঙে দিয়ে তারা নীতি আয়োগ তৈরি করেছে, কীভাবে দাঙ্গা বাঁধানো যায় তা দেখিয়েছে...গো-রক্ষার নামে নজরদারি করছে...মারধরের সিন্ডিকেট করেছে”।
“রাজনীতিবিদ হিসেবে নয় আমার স্টারডমের জন্যই মানুষ আমার জনসভায় আসেন”; দেব
তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রায়ই ‘সিন্ডিকেট রাজ' চালানোর অভিযোগ তুলেছেন নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহ। সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ, “গতবার লোকসভা নির্বাচনের আগে, তিনি অনেক কথাই বলেছিলেন। “কিন্তু গত পাঁচ বছরে তিনি কী কাজ করেছেন”।
তাঁর অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে জিনিসের দাম বেড়েছে। এবং ভোটের পর আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, “জয়হিন্দ স্লোগান দেওয়া নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ভুলে গেছে বিজেপি। এখন তাদের নেতা নাথুরাম গডসে(গান্ধীজীর হত্যাকারী)”