Loksabha Election 2019: এর আগে হেমান্ত কারকারেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি
হাইলাইটস
- আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং
- সেই ঘটনায় তিনি নিজেও জড়িত ছিলেন বলে তাঁর দাবি
- ঈশ্বর তাঁকে সেই সুযোগ দিয়েছেন বলে তিনি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ
নিউ দিল্লি: আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Pragya Thakur) । তিনি বললেন, ‘বাবরি মসজিদ ধ্বংস (Babri Demolition) হওয়ার ঘটনায় তিনি গর্বিত। আর সেই ঘটনায় তিনি নিজেও জড়িত ছিলেন। ঈশ্বর তাঁকে সেই সুযোগ দিয়েছেন বলে তিনি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।' এর আগে মুম্বাই হামলার সময় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত পুলিশ আধিকারিক হেমান্ত কারকারেকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। সেদিন তিনি বলেছিলেন হেমন্তকে অভিশাপ দিয়েছিলেন আর তার দু মাসের মধ্যেই জঙ্গিদের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর নিজের মন্তব্য ফিরিয়ে নেন তিনি কিন্তু বিতর্ক ততক্ষণে বড় আকার ধারণ করেছে। নোটিশ পাঠায় কমিশন।এবার তিনি বললেন ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ যখন ভাঙা হয় তখন সেই দলে তিনি নিজেও ছিলেন। আর ঈশ্বর তাঁকে সেই সুযোগ দিয়েছেন বলে তিনি গর্বিত। এই বক্তব্যের জন্য কমিশনের নোটিশ পেয়েছেন তিনি।
এ নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস দলের মুখপাত্র মায়াঙ্ক আগারওয়াল জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপি সব সময় বলে এসেছে অযোধ্যা মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন তাই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হবে না। এখন সেই কাজটি করলেন সাধ্বী। আমার মনে হয় ওঁর নির্বাচনে লড়ার যোগ্যতা নেই। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর হয় ক্ষমা চাওয়া উচিত নয় তাঁর দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করা উচিত।
হেমন্ত কারকারে কথা সকলের মনে আছে। ২৬/ ১১ মুম্বই হামলার সময় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্র এটিএসের প্রধান হিসেবে মালেগাঁও বিস্ফোরণ কান্ডের তদন্ত করেছিলেন। সাধ্বীকেও জেরা করেছিলেন তিনি। সে কথা মনে করে সাধ্বী বলেন, ‘ তদন্তকারি দলের তরফে হেমন্তকে ডেকে বলা হয় আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না পেলে যেন আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু উনি বলেছিলেন আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে যা দরকার তাই করবেন। আমাকে ছাড়বেন না। উনি এতটাই জটিল মনের মানুষ ছিলেন। উনি দেশদ্রোহী এবং ধর্ম বিরোধী ছিলেন। আমি বলেছিলাম আপনার বিনাশ হবে। কিছু দিনের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদীদের হাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পাশে বসা বিজেপি নেতাদের এ কথা শুনে হাততালি দিতে দেখা যায়। সাধ্বী বলেন যেভাবে সাধুদের অভিশাপে দুষ্টেরা প্রাণ হারায় সেভাবেই হেমন্ত কারকারের প্রাণ গিয়েছে। পরে বক্তব্য ফিরিয়ে নেন তিনি।