লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2019) দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে রামনবমী ( Ram Navami) পালনে আগ্রহ দেখিয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি দুটি দলই। মুখে ‘জয় শ্রী রাম' স্লোগান হাতে অস্ত্র- গতবার রামনবমীতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই ছবি দেখা গিয়েছিল। এবার সেটা কিছুটা কম ছিল। কিন্তু হয়েছে। অন্য হেভিওয়েটদের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষও প্রচার চালাচ্ছেন। শেষ কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত ঘুরে ঘুরে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন মমতা। তিনিও রামনবমী নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অন্যদিকে মেদিনীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ বলেছেন রামের নামে রাজনীতি করার মধ্যে অন্যায়ের কিছু নেই।
তিনি বলেন, বাংলার সংস্কৃতি বিপন্ন। বাংলায় সন্ত্রাস হচ্ছে। রক্ত ঝড়ছে। এ সবের বিরুদ্ধে রামের তরোয়াল-ই আমাদের অস্ত্র। রাম রাজা ছিলেন। আমার রাজনীতি তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হবে। এখানে আল্লার নামে রাজনীতি কেন হবে? এটা রামের দেশ। এখানে হাজার বার রামের নামে রাজনীতি হবে।
বিজেপির রামনবমী পালনের প্রতিবাদ করে মমতা বলেছেন, ওরা কেউ কেউ (বিজেপি নেতা কর্মীরা ) হাতে তরোয়াল নিয়ে বেরিয়ে ভোট চাইছেন। ওই তরোয়াল দিয়ে কার মাথা কাটবেন? মনে রাখবেন এটা বাংলা। এখানে এ সব কায়দায় ভোট জেতা যাবে না ।
নেত্রী এ কথা বললেও তাঁর দলেরও কয়েকজনকে রামনবমীর মিছিলে দেখা গিয়েছে। দুর্গাপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা তিওয়ারি রামনবমীর শোভাযাত্রায় পা মেলান। তৃণমূলের প্রার্থী দিব্যেন্দু আধিকারী যজ্ঞ করলেন। তিনি বলেন, রাম বিজেপির ব্যক্তিগত বিষয় নন। রাম দেশের সমস্ত হিন্দুর বিষয়। রামকে ঘিরে রাজনীতি করা যায় না। বিজেপি রামকে নির্বাচনী এজেন্টে পরিণত করেছে। কিন্তু বার বার কথা দিয়েও রাম মন্দির তৈরি করেনি।
এই ব্যাপারটাকে আবার কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তৈরির আগে এমনকী নির্বাচন কমিশন তৈরির আগে থেকে ভারতে রামনবমী পালিত হয়। রাম মন্দির আন্দোলনের পর উদযাপন আরও বড় আকারে হচ্ছে। এখন তৃণমূল উৎসব করছে। এরপর সিপিএমও করবে।'