চার দিনের ব্যবধানে দুবার মোদী-মমতার দ্বৈরথ দেখেছে রাজ্য।
হাইলাইটস
- আক্রমণ প্রতি আক্রমণে জমে উঠেছে রাজ্যের নির্বাচনী প্রচার
- প্রথম দিকে ভোট বলে আপাতত সবার নজর উত্তরবঙ্গের দিকে
- মোদীর সভার মাঠেই আজ সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী
কোচবিহার: আক্রমণ প্রতি আক্রমণে জমে উঠেছে রাজ্যের নির্বাচনী প্রচার (Lok Sabha Elections 2019)। প্রথম দিকে ভোট বলে আপাতত সবার নজর উত্তরবঙ্গের দিকে। কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে রবিবার সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) । আর আজ সেই মাঠেই সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দুপুর তিনটে নাগাদ সভা হবে এখানে। এদিন আলিপুরদুয়ারেও সভা করবেন মমতা। মোদী যখন সভায় বক্তব্য পেশ করছেন তখন মমতার সভামঞ্চ বাঁধার কাজ হয়ে গিয়েছে অনেকটাই। কথা বলতে শুরু করেই মঞ্চের দিকে নির্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওটা মমতার পরাজয়ের স্মারক। তাঁর অভিযোগ বিজেপির সভায় যাতে কম মানুষ আসতে পারে তা নিশ্চিত করেই মমতার মঞ্চ বাঁধা হয়েছে।
বদলি প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলল নির্বাচন কমিশন
তাঁর কথায়, ‘তিনি বলেন, বিজেপির সভায় যাতে ভিড় কম হয় তার জন্য মমতার মঞ্চ তৈরি করে রাখা হয়েছে। আপনাদের ভালবাসায় আমার দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে। আপনারা যতবার মোদী মোদী করেন স্পিড ব্রেকার দিদির রাতের ঘুম চলে যাচ্ছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আর কমিশনের উপর রেগে যাচ্ছেন। আপনাদের ভিড় প্রমাণ করছে এ রাজ্য দিদির হাত থেকে মুক্তি চাইছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলে কী অবস্থা হয় সেটা দিদিকে দেখে বোঝা যাচ্ছে। এমন শিশু সুলভ আচরণ করলে ভোট জেতা যায় না। ' তাছাড়া চিটফান্ড থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি বিষয়কে হাতিয়ার করেন মোদী। পাল্টা নাম না করে মুকুল রায়কে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, সারদা- নারদার অভিযুকক্ত পাশে নিয়ে মিটিং করছেন আর বলছেন তৃণমূল সারদা করেছে! আপনি সারদার নায়ক, গদ্দারকে নিয়ে মিটিং করছে। বিজেপির নেতাই সারদার নেতা। সবচেয়ে বড় অভিযুক্ত।