Read in English
This Article is From May 08, 2019

জোট গড়তে তৎপর কেসিআর, সমীকরণ বদলের পথে মমতা-রাহুল?

লোকসভা নির্বাচনের (General Election) আর মাত্র দুটি দফা বাকি রয়েছে। সকলেরই নজর এখন ২৩ তারিখের দিকে। কে কত আসন পায় তার উপর নির্ভর করছে  সব।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

এই কেসিআর প্রভাবে রাহুল এবং মমতার মধ্যে  সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।                    

Highlights

  • অকংগ্রেসি এবং অবিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন কেসিআর
  • প্রবীণ বাম নেতা পিনরাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি
  • কেসিআর প্রভাবে রাহুল এবং মমতার মধ্যে সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে
কলকাতা :

লোকসভা নির্বাচনের (General Election) আর মাত্র দুটি দফা বাকি রয়েছে। সকলেরই নজর এখন ২৩ তারিখের দিকে। কে কত আসন পায় তার উপর নির্ভর করছে  সব। বিভিন্ন সম্ভবনা খতিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল। এখন থেকেই তৎপরতা  শুরু হয়েছে। কোনও পক্ষ যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে কী হবে তা  নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কংগ্রেস এবং বিজেপিকে বাদ দিয়ে তৃতীয় শক্তির সরকার গঠনের জন্য নতুন করে চেষ্টা শুরু করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (KCR ) । তেলেঙ্গানায় ইতিমধ্যেই ভোট পর্ব মিটে গিয়েছে। তাই বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে  কংগ্রেস এবং ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে রণনীতি ঠিক করার কাজ শুরু করেছেন কেসিআর। ইতিমধ্যেই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বাম নেতা পিনরাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এই ঘটনার কী প্রভাব পড়ল বাংলায়? রাজনৈতিক মহলের অনেকেই একটা সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছেন। তাদের  মনে  হচ্ছে  এই কেসিআর প্রভাবে রাহুল এবং মমতার মধ্যে  সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।           

মোদীকে গণতন্ত্রের কড়া থাপ্পড় মারতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়         

পুরুলিয়া মঙ্গলবার রাহুল এবং মমতা দুজনেরই দুটি আলাদা জায়গায় সভা ছিল। কিন্তু এ দফায় রাজ্যে এসে মমতা প্রসঙ্গে কিছুটা হলেও নরম দেখাল কংগ্রেস সভাপতিকে। পুরুলিয়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তেমন একটা আক্রমণ করতে দেখা যায়নি রাহুল গান্ধীকে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-ই  ছিলেন তাঁর আক্রমণের মূল লক্ষ্য। গোটা বক্তব্যে বার কুড়ি মোদীর নাম উচ্চারণ করলেও রাহুল মমতার নাম করলেন মেরে কেটে বার দুয়েক। পরে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারেও তাঁকে বলতে শোনা গেল,  ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করি।' একইভাবে কংগ্রেস সম্পর্কেও তির্যক মন্তব্য করলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো।

Advertisement

মাস দেড়েক আগেও পরিস্থিতি ছিল অন্যরকম। গত ২৩ মার্চ মালদায় জনসভা করতে আসেন রাহুল। সেই সভা থেকে মোদীর পাশাপাশি মমতাকেও বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন তিনি। রাহুল বলেন, ‘বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে না। যে সুদিনের স্বপ্ন দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছিলেন তা পূরণ করার কোনও চেষ্টাই করছেন না  তিনি।'  আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন পশ্চিমবঙ্গের সরকার একটি পরিবারের কথা শুনে নিয়ন্ত্রিত হয়। এ ধরনের পরিস্থিতির হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ কে মুক্তি দিতে একমাত্র কংগ্রেসই পারে তাই কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়যুক্ত করা উচিত।' মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী কথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মৌসম বেনজির নূরের নাম উল্লেখ না করে আক্রমণ করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘একজন আপনাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাঁকে আপনারা বুঝিয়ে দেবেন যে বিশ্বাসঘাতকতার ব্যাপারটা  আপনারা ভুলে যাননি।' পাশাপাশি মমতার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি পালন না করার অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল। তিনি বলেছিলেন, ‘তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে যা বোঝেন তাই করেন। কারও সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেন না।' তবে এবার মমতা  প্রসঙ্গে বেশ কিছুটা ভিন্ন  অবস্থান নিতে  দেখা গেল রাহুলকে। 

বিজেপি বাবুরা জয় শ্রীরাম বলেন কিন্তু মন্দির বানাতে পারেন নাঃ মমতা

Advertisement

 লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর আগে অ-কংগ্রেসি এবং ও বিজেপি দলগুলির একটি জোট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন আগামী দিনে কেন্দ্রে সরকার গঠনে ভূমিকা নেবে আঞ্চলিক দলগুলি। সেভাবে দেখতে গেলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছটি দল রয়েছে যারা এখনও কোনও জাতীয় দলের সঙ্গে জোট করেনি।  সেই তালিকায় আছে কেসিআরের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি, নবীন পট্টনায়কের বিজেডি, জগমোহন রেড্ডির ওয়াই এস আর কংগ্রেস, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। বিভিন্ন সমীক্ষা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে  যে  এই দলগুলি একত্রে ১০০ টিরও বেশি আসন পেতে পারে। আর শেষমেশ যদি সেটা হয় তাহলে    সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এই দলগুলিকে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Advertisement