General Election 2019: ২০১৪ সালে তৃণমূলের দোলা সেনকে হারিয়ে আসানসোলের সাংসদ হন বাবুল সুপ্রিয়।
আসানসোল: বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) বললেন তাঁর সঙ্গে মুনমুন সেনের (Moon Moon Sen) ব্যক্তিগত পরিচয় বহুদিনের। বন্ধুত্বও রয়েছে সুন্দর। তবু, তাঁর সেই বন্ধু তৃণমূলের হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়ানোর পর যেভাবে আক্রমণ করা শুরু করেছেন এবং কথায় কথায় নিজের মা'কে টেনে আনছেন, তা বাবুলকে (Babul Supriyo) অত্যন্ত হতাশ করেছে। আগামী ২৯ এপ্রিল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে এই দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের মধ্যে লড়াই। যাঁদের দুজনের কারও মূল পরিচয়ই আসলে রাজনীতির ময়দানটি নয়। দুজনেই সাংস্কৃতিক জগতের কৃতী শিল্পী। একজন সঙ্গীত ও আরেকজন অভিনয় জগতের মানুষ। সংবাদসংস্থা পিটিআই'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবুল (Babul Supriyo) বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমি ভেবেছিলাম, যেহেতু উনি বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে এসেছেন এবং সুচিত্রা সেনের মতো এক অভিজাত অভিনেত্রীর কন্যা(Moon Moon Sen), তাই ব্যক্তিগত আক্রমণের কাদা ছেটানোর প্রক্রিয়াটি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। গত দিনদশেক ধরে তিনি যা যা বলে চলেছেন, আমি জানি, তা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সময় কাটানোরই প্রভাব। আমার মনে হয়েছিল এটা হতে পারে। কিন্তু, এত দ্রুত ও এত বিস্তারিতভাবে হবে, সেটা ভাবতে পারিনি আমি”।
চেনা মাঠে অচেনা প্রতিপক্ষর মুখোমুখি বাবুল
কথা বলার সময় অত্যন্ত ক্লান্ত মনে হচ্ছিল বাবুলকে (Babul Supriyo)। তিনি জানান, গত কয়েকটি রাত তিনি সাকুল্যে ঘন্টাদুই আড়াইয়ের বেশি ঘুমোননি। এত প্রবল ব্যস্ততার মধ্যে দু'চোখের পাতা এক করাই কঠিন হয়ে পড়ছে।
“দেখুন, আমি কখনওই নোংরা রাজনীতি করতে চাই না। ব্যক্তিগত আক্রমণ করব না, এটা আমি রাজনীতিতে পা রাখার সময়ই ঠিক করে নিয়েছিলাম”, বলেন বাবুল।
২০১৪ সালে তৃণমূলের দোলা সেনকে হারিয়ে আসানসোলের সাংসদ হন বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে, মুনমুন সেন(Moon Moon Sen) সিপিএমের বাসুদেব আচারিয়াকে হারিয়ে জেতেন ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে। হন বাঁকুড়ার সাংসদ।
কংগ্রেস বা তৃণমূল নয় বামেদের থেকে এই লোকসভা কেন্দ্র ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি
বাবুলের(Babul Supriyo) প্রশ্ন, “তিনি কি আর কখনও বাঁকুড়াতে ফিরে যেতে পারবেন? কী করে পারবেন! তিনি তো ওই কেন্দ্রে কোনও কাজই করেননি। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর নামে যে জোকসগুলি ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেগুলি দেখলেই বুঝবেন। উনি আমাদের দলের কর্মীদের বলছেন বিহার পুলিশের চর। যারা দিনরাত এক করে দলের জন্য খেটে চলেছে, তাদের প্রতি এই মন্তব্য মানা যায় না। নিজের প্রয়াত মা'কে টেনে আনছেন ভোট চাওয়ার জন্য। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সুচিত্রা সেনের আত্মার শান্তির জন্য কেন মানুষ ভোট দেবেন? সুচিত্রা সেন কবে থেকে তৃণমূল হয়ে গেলেন? তিনি দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের থেকে ভালোবাসা ও সম্মান পয়েছেন নিজের জীবৎকালে। তবে, এখন বেঁচে থাকলে যদি নিজের কন্যাকে কয়লা মাফিয়াদের পাশে নিয় মাফিয়া পার্টির হয়ে ভোট চাইতে দেখতে পেলে লজ্জিত হয়ে যেতেন”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)