মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন
নিউ দিল্লি: গুজরাটের আহমেদাবাদে ভোট দিতে গিয়ে তিনি রোড শো করেছেন এবং একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিয়েছেন মঙ্গলবার। বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ ওঠায় সন্ধেবেলা এই বিষয়টি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে। নিজের ভোটটি দেওয়ার আগে আজ নরেন্দ্র মোদী খোলা জিপে করে খানিকটা রোড শো করে প্রথমে, তারপর খানিকটা পথ হেঁটে যান, তারপর একটি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাও করেন। যে বক্তৃতাকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে 'রাজনৈতিক' এবং তারপরই যে অভিযোগটি জোরালোভাবে উঠে আসছে, তা হল, নির্বাচন কমিশনের বিধিলঙ্ঘন করেছেন তিনি।
"সন্ত্রাসবাদীদের অস্ত্র হল আইইডি আর গণতন্ত্রের অস্ত্র হল ভোটার আইডি", এমন একটি মারকাটারি বাক্য দিয়ে নিজের ওই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতাটি নরেন্দ্র মোদী শুরু করেন বলে জানা গিয়েছে। তারপর তিনি বলেন, "আমি অত্যন্ত নিশ্চিতভাবে একটা কথা বলতে পারি, আইইডি'র থেকে ভোটার আইডি অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই, আমাদের ভোটারদের এই পরিচয়পত্তরটির তুমুল শক্তির কথা ভুলে গেলে কখনওই চলবে না"।
নদীয়াতে মোদীর জনসভায় মুকুলকে থাকার অনুমতি দিল হাইকোর্ট
প্রসঙ্গত, সোমবারই নির্বাচন কমিশনের কাছে রীতিমত চিঠি পাঠিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস যে, মঙ্গলবার রোড শো করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, "মোদীর বিশাল রোড শো এবং বক্তৃতা অত্যন্ত স্পষ্ট বিধিলঙ্ঘন। নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, যাতে নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী প্রচারের ওপর ৪৮ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়"।
সত্যিই প্রধানমন্ত্রী বিধিলঙ্ঘন করেছেন কি না, তা তারা খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে, বহু বিরোধী দলের নেতা ও নেত্রীদের একযোগে দাবি, যত প্রমাণই তাদের হাতে থাকুক না কেন, নির্বাচন কমিশন কখনওই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না।