Lok Sabha Elections 2019: মঙ্গলবার রাতের দিকে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে
হাইলাইটস
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিকের ট্রেলার দেখানো যাবে না
- নির্বাচন কমিশনের তরফে মঙ্গলবার রাতের দিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
- রাজ্য বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নিল কমিশন
কলকাতা: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Bannerjee) বায়োপিকের (Biopic) ট্রেলার দেখানো যাবে না। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির (BJP) অভিযোগের ভিত্তিতেই ব্যবস্থা নিল কমিশন। বাঘিনী (Baghini) নামে ছবিটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বায়োপিক বলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হয়। পরের মাসের ৩ তারিখ ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা। তার আগে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ছবিটির ট্রেলার প্রচারিত হতে থাকে। সেগুলি তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছ কমিশন। স্বভাবতই আরও বাড়ে জল্পনা। কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকের উপরও একইভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। কমিশন জানিয়েছিল বিবেক ওবেরয় অভিনীত ছবিটি আপাতত মুক্তি পাচ্ছে না। এবার মমতার বায়োপিকের উপর ট্রেলার বন্ধের নির্দেশ দিল কমিশন।
'ভোট দিতে গিয়ে নিজের প্রচার করে এসেছেন মোদী', বিরোধীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কমিশন
রাজ্য বিজেপি তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং শিশির বাজোরিয়া কমিশনে চিঠি লিখে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয় এবং তারপর মঙ্গলবার রাতের দিকে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাঘিনী ছবিটির নাম ভূমিকায় রয়েছেন রুমা চক্রবর্তী। গত ১১ এপ্রিল ছবির ট্রেলার মুক্তি পায়। তারপর থেকেই বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়। যদিও ছবির নির্মাতারা বারবার দাবি করে আসছেন এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বায়োপিক নয়। কিন্তু এখন আর ছবির ট্রেলার প্রদর্শন করা যাবে না।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। একদম শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। কয়েক দিন আগে নির্বাচন কমিশন জানায় যতক্ষণ না পর্যন্ত ভোট প্রক্রিয়া মিটছে ততক্ষণ প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিক মুক্তি পাবে না। আর তাই এপ্রিল মাসের ১১ তারিখ ওই ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও বিবেক ওবেরয় অভিনিত ছবিটি আপাতত স্থগিত হয়েছে। কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলি দাবি নিজের জীবনের সংগ্রামের কাহিনী সিনেমার মাধ্যমে প্রচার করে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাই ছবিটি বন্ধ করে দেওয়া দরকার। এই মর্মে কমিশনে অভিযোগও জমা পড়ে। একইভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে নমো টিভির উপরও।