প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা আরও পাঁচটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ খারিজ করেছে কমিশন।
হাইলাইটস
- প্রচারে অভিনন্দনের প্রসঙ্গ এনে মোদী নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গ করেননিঃ কমিশন
- নির্বাচন কমিশনের তরফে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে
- এ নিয়ে পরপর ছ’বার মোদীর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ খারিজ করল কমিশন
নিউ দিল্লি: ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে (Avinandan Varthaman) নিয়ে করা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) মন্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধির (Model Code Of Conduct) লঙ্ঘন নয়। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে পরপর ছ'বার মোদীর বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ খারিজ করল কমিশন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই জানানো হল এগুলি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়। এবারের বিতর্কের সূত্রপাত গুজরাটের একটি সভাকে ঘিরে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় অভিনন্দনকে যাতে পাকিস্তান নিজেদের জিম্মা থেকে মুক্তি দেয় তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পাকিস্তানকে এক প্রকার বাধ্য করেছিল ভারত। ইসলামাবাদকে দিল্লি বলেছিল অভিনন্দনকে ছাড়া না হলে তার পরিণাম হবে মারাত্মক। এই বক্তব্যের পর বিতর্ক দেখা দেয়। এবাররে লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর সময় কমিশন জানিয়েছিল অভিনন্দন বর্তমান বা সাম্প্রতিককালে সেনাবাহিনীর কোনও কার্যকলাপকে প্রচারে অঙ্গ করা যাবে না। এরপর মোদীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ। কিন্তু কমিশন বলে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি। গুজরাটের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধির বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু কোনও দিক থেকেই প্রধানমন্ত্রী বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলেই তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে।
ফণীর খবর নিতে রাজ্যপালকে ফোন মোদীর, কাল যাচ্ছেন ওড়িশায়
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা আরও পাঁচটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ খারিজ করেছে কমিশন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধেও এ ধরনের দুটি অভিযোগ উঠেছিল। সেগুলিও খারিজ করেছে কমিশন। একই সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ওঠা একটি অভিযোগও খারিজ করা হয়েছে। কিন্ত কমিশনের অতি বিশেষ একটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করার ক্ষেত্রে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিশন। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে কমিশনের ফুল বেঞ্চের হাতে। মুখ্যনির্বাচন কমিশনার সুনীল এবং দুই কমিশনার অশোক লাভাসা এবং সুশীল চন্দ্রকে নিয়ে এই বেঞ্চ তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনও একজন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি জারি করেও এই দু'জনকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়নি। দেশের এক প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেছেন এর থেকে স্পষ্ট হয় সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোনও এক কমিশনারের আপত্তি ছিল। তা না হলে কী কারনে অভিযোগ খারিজ করা হল সেটা জানিয়ে বিবৃতি পেশ করা হত।