This Article is From Apr 11, 2019

নমো টিভির রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল নির্বাচন কমিশন

কমিশন সাফ জানিয়ে দিল- ‘নির্বাচনের সময় এমন কোনও ছবি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে চলা উচিত নয়, যা পরিস্থিতিকে অযাচিতভাবে কোনও বিশেষ দলের অনুকূলে এনে দিতে পারে'।

নমো টিভির রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল নির্বাচন কমিশন
নিউ দিল্লি:

আজ শুরু হল গোটা দেশের সাধারণ নির্বাচন (Lok Sabha election)। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) এবং বিজেপির সমস্ত কাজকর্মের প্রচারের জন্য চালু হওয়া ২৪ ঘন্টার চ্যানেল ‘নমো টিভি'(NaMo tv)-তে সম্প্রচার হওয়া রাজনৈতিক বিষয়বস্তু আর দেখানো যাবে না বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী অফিসারকে একটি চিঠি লিখে জানিয়ে দেওয়া হল। এনডিটিভির সূত্র এর আগেই জানিয়েছিল, বুধবার সকালে যেমনভাবে নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক নির্বাচনের সময় রিলিজ করানো যাবে না বলে নির্দেশ দিতে পারে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। এছাড়া,পোস্টার সহ কোনওরকম প্রচারমূলক বিষয়ের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন।  তেমনই বাধার মুখে পড়তে চলেছে ‘নমো টিভি'-ও। গত মাসেই আচমকা এই চ্যানেলটির উদয় হয়। তারপর থেকেই চ্যানেলটির বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সরব হয় কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি সহ বিরোধীরা।

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিভিন্ন জনসভা থেকে আক্রমণ করেন বিজেপিকে এই 'নমো টিভি' নিয়ে। নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী' রিলিজ করার আগের দিনই তার ওপর খাঁড়ার ঘা নামিয়ে এনেছিল নির্বাচন কমিশনের। এবার কোপ পড়ল 'নমো টিভি'র ওপরেও। 

'কে দেশবিরোধী', এই প্রশ্নে আদবানির সঙ্গে সহমত নীতিন গড়করি

কমিশন সাফ জানিয়ে দিল- ‘নির্বাচনের সময় এমন কোনও ছবি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে চলা উচিত নয়, যা পরিস্থিতিকে অযাচিতভাবে কোনও বিশেষ দলের অনুকূলে এনে দিতে পারে'।

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এই কথাও বলা হয় যে, নির্বাচন চলাকালীন যে যে জায়গায় মডেল কোড অব কন্ডাক্ট চালু রয়েছে সেখানে সেখানে পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও বিশেষ প্রার্থীর অনুকূলে আনার জন্য বৈদ্যুতিক মাধ্যমকে ব্যবহার করা উচিত নয়।

এই একই কথা নমো টিভির জন্য প্রযোজ্য হতে চলেছে বলেও এনডিটিভিকে জানিয়েছিল সূত্র।

বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে দু'হাত তুলে স্বাগত জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে, তার জন্য আমি গর্বিত। দেশের শাসক দলের এমন ভূমিকা গোটা ভারতের কাছেই অত্যন্ত লজ্জাকর একটি বিষয়”।

.