Lok Sabha Election 2019s 2019: ২ এপ্রিল মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
হাইলাইটস
- নতুন আইনে অজ্ঞাত পরিচয় উৎস থেকে টাকা পেতে পারে রাজনৈতিক দলগুলিঃ কমিশন
- নতুন আইনের বলে রাজনৈতিক দলকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিও টাকা দিতে পারবেন
- কমিশন মনে করে আইনের গুরুতর প্রভাব পড়তে চলেছে
নিউ দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2019) মুখে ভোটের কাজে ব্যবহার হওয়া টাকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সরকারের নতুন আইন প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । নতুন আইনে বলা আছে রাজনৈতিক দলকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিও টাকা দিতে পারবেন। তাছাড়া টাকার ঊর্ধ্বসীমাও নির্ধারণ করা হয়নি। কমিশন মনে করে এই আইনের গুরুতর প্রভাব পড়তে চলেছে নির্বাচন পক্রিয়ার উপর। নগদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে যাতে কেউ সাহায্য করতে না পারে তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে কমিশন বলেছে, সকারের নতুন আইনের ফলে রাজনৈতিক দল গুলির কাছে বন্যার জলের মতো অর্থ সাহায্য পৌঁছে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে।
দাঁড়িপাল্লায় মেপে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ওজনের সমান লাড্ডু বিতরণ প্রথা! কী বললেন প্রিয়াঙ্কা?
ভারতীয় সংস্থার পাশাপাশি বিদেশি সংস্থা (Foriegn Funding) এবং কর্পোরেটও টাকা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। দেশের গণতন্ত্রের উপর তার বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এর আগে শীর্ষ আদালতে (Top Court) সরকার জানায় নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার কমাতেই বন্ড নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু আবদনে বলা হয়েছে এই নতুন আইনে কে টাকা দান করেছেন তাঁর নাম জাননো বাধ্যতামূলক নয়। ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বন্ড কেনা যায় এবং নিজের পছন্দ মতো রাজনৈতিক দলকে সেটি দিয়েও দেওয়া যায়।
‘স্যার, রুমালটা আবার দেবেন প্লিজ' কেন আহত সাংবাদিকের এমন আর্জি রাহুলকে?
কমিশন আরও জানিয়েছে নতুন আইনে বলা হয়েছে কোনও বিদেশি সংস্থার যদি ভারতীয় সংস্থায় অংশীদারিত্ব থাকে তাহলে তারাও টাকা দিতে পারবে। এখানেই কমিশন মনে করে এভাবে বিদেশি সংস্থা গুলি ভারতের রাজনৈতিক শক্তির নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠতে পারে। প্রভাবিত করার চেষ্টাও করতে পারে। এমনিতে বন্ড থেকে পাওয়া টাকার কথা কমিশনকে জানাতে বাধ্য নয় রাজনৈতিক দল গুলি। আর তাই বিদেশি টাকা ঢুকছে কিনা তা বুঝতেই পারবে না নির্বাচন কমিশন। ২ এপ্রিল মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।