নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করেছেন নির্বাচন কমিশনার (Election Commissioner Ashok Lavasa) অশোক লাভাসা। তাঁর মতামতকে রেকর্ড না করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অশোক। অশোক লাভাসা বলেন, “এই বৈঠকে যাওয়ার কোনও অর্থই নেই, এই জন্যই অন্য উপায়ে চিন্তা করছি। বৈঠক থেকে সরে থাকতে আমাকে বাধ্য করা হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর বিতর্কিত বিবৃতির ক্ষেত্রে কমিশন কীভাবে ক্লিন চিট দিল, আর কেনই বা এই ক্ষেত্রে অশোকের বয়ান রেকর্ড করা হল না এই নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের যে ৬ টি অভিযোগ উঠেছে তার একটিতেও দোষী সাব্যস্ত করেনি। নির্বাচন কমিশনের তিন সদস্য কমিশনে ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা এবং দুই নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা ও সুশীল চন্দ্র।
7th Phase: কী হয়, কী হয়! কাল শেষ দফার ভোট দেবেন এই রাজ্যের প্রায় দেড় কোটি মানুষ
অশোক লাভাসা (Ashok Lavasa) ৪ মে তাঁর চিঠিতে দাবি করেছেন যে, “যবে থেকে মতামত রেকর্ড করা হয়নি তখন থেকেই আমাকে কমিশনের সভা থেকে দূরে রাখার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাঁর সংখ্যালঘু মতকে গুরুত্ব দেয়নি কমিশন!” অশোক লাভাসা মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখেছিলেন এবং বলেন, “যখন আমার বিবৃতিই রেকর্ড করা হয়নি তখন থেকে আর কমিশনে কী নিয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে, সেখানে আমার অংশীদারিত্বের কোনও অর্থ নেই।”
'আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরব 'পাঁচ বছরে প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি মোদীর
তিনি লিখেছেন, “এই ক্ষেত্রে অন্যান্য আইনি পদ্ধতিও বিবেচনা করব। আমার অনেক নোটে রেকর্ডিংয়ের স্বচ্ছতা প্রয়োজনের জন্য বলা হয়েছে।” এই চিঠিটি পাওয়ার পরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা অশোক লাভাসার সঙ্গে বসতে চেয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। নির্বাচন কমিশন গুজরাটে ২১ মে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার ক্ষেত্রে ক্লিন চিট দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তেরই বিরোধিতা করেন অশোক।