বিজ্ঞাপনের আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতেই এমন ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
হাইলাইটস
- রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করল ফেসবুক
- কে খরচ বহন করছেন.তা উল্লেখ করা থাকবে বিজ্ঞাপনে
- ভারতের প্রায় তিরিশ কোটি মানুষ ফেসবুক করেন
নিউ দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেখানোর ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করল ফেসবুক। এখন থেকে কে এই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন বা কে এটির খরচ বহন করছেন.তা উল্লেখ করা থাকবে । বিজ্ঞাপনের আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতেই এমন ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে ফেসবুক। বছর তিনেক আগে মার্কিন মুলুকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় অনলাইন সংস্থাগুলি ফেসবুকে প্রচুর বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেই সমস্ত বিজ্ঞাপনের বেশিটাই দেওয়া হয়েছিল বেনামে। মানে কে কোন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তা বোঝার উপায় ছিল না। এই ঘটনার পর নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করে ফেসবুক। তারই ফল হিসেবে এ দেশে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে সতর্ক হল ফেসবুক। ভারতের প্রায় তিরিশ কোটি মানুষ ফেসবুক করেন। বিপুল সংখ্যায় মানুষ ফেসবুকে থাকায় রাজনৈতিক দলগুলি এখানে প্রচার করতে চায়। নানা ধরনের প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এই বিজ্ঞাপন কে দিচ্ছে বুঝতে না পারলে গ্রাহক বিভ্রান্ত হন। এমনটা যাতে না হয় তার জন্যই নতুন পদক্ষেপ করল ফেসবুক।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফেসবুক এবং ইন্টারনেটের অন্য মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে খরচ হয়েছিল ১৫ বিলিয়ন। এবার তা বেড়ে দ্বিগুণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরতে প্রচুর টাকা খরচ হয়েছিল। এবারও এরকমই কিছু হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। সভাপতি রাহুল গান্ধী ফেসবুক থেকে শুরু করে টুইটারে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছেন। ২০১৭ সালে হওয়া গুজরাট বিধানসভা ভোটের সময় টুইটারকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে নিশানা করেন রাহুল। এরপর গত এক বছর ধরে সেই ধারাই বজায় আছে। এখন প্রায় প্রতিদিনই কোনও একটি বিষয়কে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল। পাল্টা দেয় বিজেপি। এই আক্রমণ প্রতি আক্রমণকে ঘিরে গ্রাহকদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার হয়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)