Read in English
This Article is From May 02, 2019

বাবরি মসজিদ নিয়ে অতি বিতর্কিত মন্তব্য, তিন দিন প্রচার করতে পারবেন না সাধ্বী

Lok Sabha Elections 2019: এবার মালেগাঁও বিস্ফোরণের (Malegaon Blast) অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞাকেই ভোপাল থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

Lok Sabha Elections 2019: একটি সাক্ষাৎকারে সাধ্বী বলেন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা তাঁর কাছে গর্বের

Highlights

  • তিন দিন প্রচার করতে পারবেন না ভোপালের বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা
  • মালেগাঁও বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞাকেই ভোপাল থেকে প্রার্থী করেছে
  • তাঁর বিরুদ্ধে আছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দ্বিগবিজয় সিং
নিউ দিল্লি :

বাবরি মসজিদ  (Babri Masjid) নিয়ে অতি বিতর্কিত মন্তব্য করায় আজ থেকে তিন দিন প্রচার করতে পারবেন না ভোপালের (Bhopal LS Constituency) বিজেপি প্রার্থী সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Sadhvi Praggya Thakur) । এবার মালেগাঁও বিস্ফোরণের (Malegaon Blast) অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞাকেই ভোপাল থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁর বিপক্ষে আছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগবিজয় সিং। প্রজ্ঞা বলেছিলেন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় তিনি নিজেও যুক্ত ছিলেন এবং সেটা তাঁর  কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই মন্তব্যের জন্যই প্রচার প্রক্রিয়া থেকে তিন দিনের জন্য সরে যেতে হবে সাধ্বীকে। আজ ভোর ছ'টা থেকে আগামী  তিন দিন কোনওরকম নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না ভোপালের এই বিজেপি প্রার্থী।

টিভি ৯-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মাসের গোড়ার দিকে তিনি জানিয়েছিলেন বাবরি মসজিদ ভেঙে আমরা দেশ থেকে একটা কালো দাগ সরিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা গোটা কাঠামোটাই ভেঙে ফেলতে গিয়েছিলাম। সেই সুযোগ ঈশ্বর আমায় দিয়েছেন বলে আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি। আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।  মন্দির যাতে  ওখানে হয় তা আমরা নিশ্চিত করবো। বাবরির মতো ঘটনা  নিয়ে এমন  মন্তব্যের পর নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রজ্ঞাকে নোটিশ পাঠানো হয়। তার জবাবে এমন  মন্তব্য করার কথা স্বীকার করে নেন প্রজ্ঞা। এর পাশাপাশি বছর পঞ্চাশের এই বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলাও শুরু করেছে পুলিশ।

 বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন এই কট্টর  হিন্দুত্ববাদী নেত্রী। প্রথমে তিনি বলেছিলেন ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় নিহত পুলিশ আধিকারিক হেমন্ত কারকারের মৃত্যু হয়েছিল তাঁর অভিশাপে। মহারাষ্ট্র এটিএসের প্রধান হিসেবে মালেগাঁও বিস্ফোরণে তদন্ত করেছিলেন হেমন্ত। সেই সময় হেমন্তকে অভিশাপ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সাধ্বী। আর এটাও বলেছেন সেই ঘটনার দু'মাসের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছিল হেমন্তের। পরে অবশ্য এই মন্তব্য ফিরিয়ে নেন তিনি। এবার আবারও বিতর্ক বাঁধিয়ে তিন দিন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে থাকতে হবে তাকে।

Advertisement

Advertisement