This Article is From Apr 05, 2019

পাহাড়ের বুক থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি এখনও মুছে যায়নিঃ বিমল

Lok Sabha Elections 2019: আটের দশকের মাঝামাঝি ১৯৮৬ সাল নাগাদ নতুন করে আলাদা  রাজ্য গঠনের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয় পাহাড়ে।

পাহাড়ের বুক থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবি এখনও  মুছে  যায়নিঃ বিমল

২০১৭ সালের জুন মাস থেকেই পাহাড়  ছাড়া গুরং।

হাইলাইটস

  • সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে একথাই বলেছেন একদা পাহাড়ের মুকুটহীন সম্রাট
  • গুরুং জানালেন, আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি ছিল আছে এবং থাকবে
  • ২০১৭ সালের জুন মাস থেকেই পাহাড় ছাড়া গুরুং
দার্জিলিং:

গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবি এখনও  মুছে  যায়নি পাহাড়ের বুক থেকে। আলাদা  রাজ্য গঠনের দাবি আন্দোলন আগেও হয়েছে পরেও হবে। গোপন ডেরা থেকে  সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে একথাই বলেছেন একদা পাহাড়ের অন্যতম নেতা বিমল গুরুং। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিমল এমন কথা কেন বললেন, তার নির্দিষ্ট কারণ  আছে।  রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলেছিলেন এবার পাহাড় এমন একটা ভোট দেখতে চলেছে যেখানে গোর্খাল্যান্ড নয়, ইস্যু উন্নয়ন। কিন্তু গুরুং বললেন, আলাদা রাজ্য গঠনের দাবি ছিল আছে এবং থাকবে। তাঁর কথায়, "প্রতিটি নির্বাচনই (Lok Sabha Elections 2019) দাবি পূরণের দিকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায় বলে মনে করি। এবার ভোটে  দার্জিলিং থেকে শুরু করে তরাই, বুঝিয়ে দেবে, আলাদা রাজ্যের দাবি থেকে সরে আসেনি তারা।  এই নির্বাচন জিতে আমরা সবাইকে বুঝিয়ে দেব আমরা ভয় পাই না, আমাদের দেখান যায় না। ২০১৭ সালের জুন মাস থেকেই পাহাড়  ছাড়া গুরুং"।

মোদীর জন্য প্রচার করে বিপাকে রাজস্থানের রাজ্যপাল

সমতল আগেই বলেছে দার্জিলিংকে কোনও অবস্থায়  বাংলা থেকে  আলাদা হতে দেওয়া যাবে না। এবার পাহাড়ের রাজনৈতিক দল গুলিও ভোটের ইস্যু হিসেবে পৃথক রাজ্য বা গোর্খাল্যান্ড(Gorkhaland) তৈরির কথা বলছে না বলে মনে করেছিলেন অনেকে। আটের দশকের মাঝামাঝি ১৯৮৬ সাল নাগাদ নতুন করে আলাদা  রাজ্য গঠনের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয় পাহাড়ে। সেই তখন থেকে এই ব্যাপারটিকে ঘিরেই আবর্তিত হয় পাহাড়ের ভোট রাজনীতি। এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তৃণমূল অনেক দিন থেকেই বলে  আসছে পাহাড়ের মূল  সমস্যা অনুন্নয়ন। আলাদা  রাজ্য গঠন নয় উন্নয়নের কাজ  করলেই পাহাড়ের মানুষের মুখে হাসি ফোটান যায়।

চা শ্রমিকদের জীবনই ইস্যু হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের ভোটে

অতীতে গোর্খাল্যান্ডের(Gorkhaland) হয়ে সওয়াল করা বিজেপিও এবার উন্নয়নের কথাই বলছে। একই সুর স্থানীয় দলের নেতাদের মুখে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা একটা সময়ে আলাদা রাজ্যের কথা বলত। আদতে  আটের দশকে চরমে থাকা আলাদা রাজ্য গঠনের দাবিকে এই শতাব্দীতে নতুন চেহারা দিয়েই পাহাড়ের রাজনীতিতে মাথা  তুলেছিল মোর্চা। কিন্তু এখন মোর্চার আর সেই জোর নেই। অনেকেই এসেছেন তৃণমূলে।  বিমল গুরুং থেকে শুরু করে রোশন গিরিরা এখন সক্রিয় নন পাহাড়ের রাজনীতিতে। তাঁরা দুজনেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ  হয়েছেন। তাই মোর্চার নেতৃত্বেও বদল এসেছে।

কিছুতেই বিজেপিকে দেশকে টুকরো করতে দেব নাঃ মমতা

দার্জিলিঙের তৃণমূল প্রার্থী তথা মোর্চার প্রাক্তন বিধায়ক অমর সিং রাই বলেন, "এবার পাহাড়ে ভোট হচ্ছে উন্নয়নের প্রশ্নে। পাহাড় অনেক দিক বঞ্চিত হয়েছে। গত দশ বছর ধরে এই কেন্দ্রের দুই  বিজেপি সাংসদ কোনও কাজ করেননি"। তৃণমূল প্রার্থীর সুরেই সুর মেলালেন বিনয় তামাং। বিমলের অনুপস্থিতিতে মোর্চার একটি অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিনয়। অস্থায়ী  জিটিএ- র মাথাতেও তিনিই বসেছেন। কিছুটা ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি মনোজ দেওয়ান বলেন, "পুলিশ এবং বিনয় তামাংরা সন্ত্রাস করছেন। সেই সন্ত্রাসের অবসান প্রয়োজন"। এরই মধ্যে বিমল দাবি  করলেন পাহাড়ের রাজনীতির গোর্খাল্যান্ড  পর্ব এখনও শেষ হয়ে যায়নি।               



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.