তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে
কলকাতা: বুধবার নদীয়া জেলায় যে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, তাতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে উপস্থিত থাকার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নদীয়ার তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে। যে কারণে আগাম অন্তর্বর্তী জামিন ছাড়া তাঁর ওই জেলায় পা রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই সদস্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং এম মন্ডল রানাঘাটে নরেন্দ্র মোদীর বুধবারের জনসভায় মুকুল রায়কে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিলেও তাঁর ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যেভাবে হোক সন্ধের আগে ওই জেলা ছাড়তে হবে।
যদিও, ২৫ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত নদীয়া জেলায় যে আরও চারটি জনসভা করবে বিজেপি, সেগুলিতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না মুকুল। হাইকোর্ট জানিয়েছে, ওই জনসভাগুলি তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেগুলিতে উপস্থিত থাকতে পারেন মুকুল।
তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হল আজ, জেনে নিন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের হাল-হকিকত
যদিও, মুকুলকে নদীয়ার জনসভায় উপস্থিত থাকার বিরুদ্ধে জোর সওয়াল করেন আইনজীবী কিশোর দত্ত। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যা মামলা একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে। মুকুল রায় রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত ক্ষমতাশালী একটি চরিত্র। তাঁকে নদীয়ায় যাওয়ার অনুমতি দিলে তা তদন্তপ্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে।
যদিও, সেই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে মুকুল রায়ের কৌঁসুলি ফিরোজ এডুলজি আদালতের কাছে মুকুলকে অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে প্রার্থনা করে বলেন, মুকুল রায় রাজ্য বিজেপির অতি গুরুত্বপূর্ণ নেতা। জেলায় নির্বাচনী বৈঠকের জন্য তাঁর উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন নিজের বাড়ির সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয় কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)