এবারের গরম, যাকে বলে, সুপার'হিট'! সেই গরম থেকে বাঁচার জন্য বেশ কিছু অতি পরিচিত, কিন্তু প্রতি গ্রীষ্মেই প্রাসঙ্গিক, এমন কিছু 'হিট'-উপদেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেগুলির মধ্যে রয়েছে- বেশি করে ফলের রস খাওয়া, কফি কম খাওয়া এবং সুতির জামাকাপড় পরা। ভোটের প্রচারের এসে একে অপরের বিরুদ্ধে রীতিমত কামান দেগে চললেও, একটি বিষয়ে প্রায় সকল দলের সব প্রার্থী ও বাঘাবাঘা নেতা-নেত্রীরাই ভীষণভাবে একমত যে, গোটা দেশ যেভাবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গ্রাসে পড়েছে, তাতে তার সঙ্গে মাথাঠাণ্ডা রেখে লড়াই করাটাও ভোটে লড়ার থেকে কম কঠিন নয়! গরম থেকে বাঁচতে কী করছেন তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে সংবাদসংস্থা পিটিআই'কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় জানান, “আমি নিজেকে পুরোপুরি সুগার-ফ্রি ডায়েটের ওপর রেখেছি, ভাই! নইলে প্রচারের দৌড়ঝাঁপ সামলানো মুশকিল”!
বাকি ছ' দফার ভোটে রাজ্যে আসছে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
তাঁর কথায়, “দেখুন, আমাকে প্রচারের সময় মানুষ যখন মিষ্টি বা সরবত দেন, তখন আমি ‘না' করতে পারি না। আর, সবসময়ই গান শুনি। শুনতে শুনতে গানটা গুনগুন করে। ওটাই আমার প্রাণের আরাম। মনের শান্তি তো বটেই। তাতে গরমের অস্বস্তিটাও কিঞ্চিত কমে আসে”। মধ্যাহ্নভোজটি তিনি খেয়ে নেন দলীয় সমর্থকদের বাড়িতে।
দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে রাজ্যে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল কমিশন
যদিও, বাবুল সুপ্রিয়'র প্রচারে সরবত খাওয়া নিয়ে আপত্তি জানালেন চিকিৎসক দেবাশিস বসু। তিনি বলেন, “এই প্রবল গরমে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ অন্যান্য মানুষদেরও মাথায় রাখতে হবে, যতটা সম্ভব কফি বা ঠাণ্ডা পানীয়'র থেকে দূরে থাকা ভালো। বেশিক্ষণ রোদে থাকলে ওই ঠাণ্ডা পানীয়ের চিনি একটা ঝটকা দেয় ঠিকই, কিন্তু, ওই পানীয়ের ভিতরে থাকা ফসফরিক অ্যাসিড শরীরে ডিহাইড্রেশন তৈরি করে। সবথেকে ভালো হয়, যদি একেবারে ঘরের তাপমাত্রার জল বা ফলের রস খাওয়া যায়। আর, একেবারে তেল ছাড়া খাবার খেতে হবে। তবেই ঠিক থাকা যাবে”।
শেষ হল রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচার
বাবুল সুপ্রিয়'র মতোই কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবেও এই গরম থেকে বাঁচতে ফল, নারকোলের জল ও দই রেখে দিচ্ছেন সঙ্গে। তিনি বললেন, “আমার দিন শুরু হয় সকাল সাড়ে সাতটায়। সেই রাত পর্যন্ত চলে। আমি এগুলোই খাই। আর যেহেতু আমি নিরামীষশাসী, তাই আমার ডায়েটে সবসময়ই যা থাকছে এখন, তা হল- চাপাটি, ডাল আর সবজি। শরীরের যত্নটা নেওয়া এই সময় খুব প্রয়োজন”।
অবিলম্বে দেশে ফিরে আসুন, ফিরদৌসকে বলল বাংলাদেশ
দমদমে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌগত রায়ের গরমের সঙ্গে লড়াই অস্ত্র হল ভিজে তোয়ালে আর ইনসুলিন। তিনি বললেন, “আমি তো প্রচারে বেরোনোর সময় নিজের মাথায় ভিজে তোয়ালেটা রেখে দিই। আর, পরিশুদ্ধ জল খাই। বেশিরভাগ দিনই, এই সময়টা বিশেষ করে, বাইরে খেতে হয় আমাকে। সেটা অবশ্যই খুব স্বাস্থ্যকর ব্যাপার নয়। কখনও কখনও আবার ইনসুলিন নিতেও ভুলে যাই! এইসব নিয়েই চলছে”!
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র'র আবার গরম থেকে বাঁচার অস্ত্র মসলিনের শার্ট এবং কটনের শাড়ি। এছাড়া, সানস্ক্রিন লোশন ও সানগ্লাসও প্রচারে বেরোনোর সময় তাঁর চাই-ই
দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে নির্বাচনী প্রস্তুতি খতিয়ে দেখল কমিশন
রায়গঞ্জের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম জানালেন, “আমি সারাবছরই কম তেলের রান্না খাই। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে আমি বরাবরই খুব সচেতন। আর, প্রচারে বেরোনোর পর খাওয়াটা সেরে নিই স্থানীয় কারও বাড়ি থেকে। জল খাই আমার কেন্দ্রের টিউবওয়েল থেকে”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)