আসানসোল: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে যেভাবে বারবার ‘জাতীয়তাবাদ' ও ‘পাকিস্তান' প্রসঙ্গ উঠে আসছে তা নিয়ে তিতিবিরক্ত প্রাক্তন অভিনেত্রী, সাংসদ তথা এই বছর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুনমুন সেন। তিনি জানালেন, প্রয়োজন পড়লে, তিনি ফের তাঁর ‘পুরনো বন্ধু' ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলবেন। যদিও, ইমরান খানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে বৈঠক করতে চান না তিনি। কারণ, তাঁর কথায়, “এই ইস্যুগুলি নিয়ে বৈঠক করার জন্য আমাদের দেশে বহু যোগ্য নেতা ও নেত্রী রয়েছেন। তাই আমাকে সেই দায়িত্ব স্বাভাবিকভাবেই পালন করতে দেওয়া হবে না। তাই ওটা নিয়ে আমি ভাবতে চাই না”।
মহুয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইমরান আমার বন্ধু। যদিও, এখন আর আমাদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। তবে, এই মুহূর্তে যেভাবে পাকিস্তানের নাম করে বিভেদের রাজনীতি করার চেষ্টা চলছে, তা খুব বিপজ্জনক”।
তাঁর কাছে তারপর জানতে চাওয়া হয়, প্রয়োজন হলে তিনি কি ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত এই দু'দেশের মধ্যে বর্তমান বিষয়গুলি নিয়ে? সঙ্গে সঙ্গে মুনমুনের জবাব, “কেন নয়? ও তো আমার বন্ধু”।
সৌজন্য বিক্রি করতে ভালবাসেন মোদী: মমতা
গত শতাব্দীর আশি ও নব্বই দশকে যখন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করতেন ইমরান খান, তখন মুনমুন সেনের সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক' নিয়ে বহু মুখরোচক গসিপ ছড়িয়েছিল বাজারে। যদিও, তাঁরা দুজনেই দুজনের ব্যাপারে ‘ভালো বন্ধু' ছাড়া অন্য কোনও সম্পর্কের ব্যাপারে কিছুই জানানি কখনও প্রকাশ্যে।
এই বাহুবলিকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন অনুপম
তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হয়, যদি সুযোগ পান, তাহলে কি আপনি দূত হিসেবে যেতে রাজি? সুচিত্রা-কন্যার সপাট জবাব, “না। ওঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি কখনওই নিজে থেকে যেতে পারব না। আমি জানি, আমাকে এই কাজ করতে বলাও হবে না। আমাদের দেশে এমন বহু রাজনীতিবিদ আছেন, যাঁরা এই কাজটি করতে পারবেন। যেমন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, তিনি কোনওদিন আমার সঙ্গে ইমরানের বন্ধুত্বের সুযোগ নেবেন না। দেখুন, কলকাতায় ইমরানের বহু বন্ধু রয়েছে। আমার বরও তো ওঁর খুব ভালো বন্ধু। আমিই শুধু একা নই”।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)