পাঁচটি আসনে বিজেপির পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন কোটিপতি
হাইলাইটস
- তৃতীয় দফায় রাজ্যের পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটে অংশ নিচ্ছেন ৬১ জন প্রার্থী
- তালিকা সবার উপরে রয়েছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান
- তিনি জানিয়েছেন তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৬ কোটি টাকা
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফায় রাজ্যের পাঁচটি কেন্দ্রের ভোটে অংশ নিচ্ছেন ৬১ জন প্রার্থী। ২৩ এপ্রিল বালুরঘাট, জাহাঙ্গীরপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা দক্ষিণ এবং মালদা উত্তর কেন্দ্রে ভোট হবে। এই পাঁচটি কেন্দ্রের জন্য যে ৬১ জন লড়ছেন তাদের মধ্যে ১১ জন এমন প্রার্থী আছেন যাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি। আর ১৫ জন জানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারা মামলা আছে। সমীক্ষা বলছে, প্রার্থীদের তালিকা সবার উপরে রয়েছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। মনোনয়নপত্র তিনি জানিয়েছেন তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৬ কোটি টাকা। এরপরেই আছেন মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ২৭ কোটি টাকা। জাহাঙ্গীরের কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় মনোনয়নপত্রে জানিয়েছেন তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৪ কোটি টাকা।
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মৌসম বেনজির নূর এবং দক্ষিণ মালদা তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন জানিয়েছেন তাঁদের কাছে এক কোটি টাকার সম্পত্তি আছে। বালুরঘাটের কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুস সাদেক সরকার জানান, তার মোট সম্পদের পরিমাণ দু'কোটি টাকা।
পাঁচটি আসনে বিজেপির পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন কোটিপতি। তার মধ্যে মুর্শিদাবাদের হুমায়ুন কবির তিন কোটি টাকার মালিক। তাছাড়া মালদা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মু এবং মালদা দক্ষিণের প্রার্থী শিল্পা মিত্র চৌধুরির সম্পদের পরিমাণ এক কোটি টাকা। মালদা উত্তরের সিপিএম প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষের মোট সম্পদের পরিমাণও এক কোটি টাকা। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি কেন্দ্রের প্রার্থীদের মোট সম্পদের গড় ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ এবং অ্যাসোসিইয়েশনের সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। তৃণমূল প্রার্থীদের গড় সম্পদ ৮ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা বিজেপির ১ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা কংগ্রেসের কোটি ৫ লক্ষ টাকা এবং সিপিএমের ৮১ লক্ষ টাকা। ৬১ জনের মধ্যে ২৬ জন জানিয়েছেন তাঁরা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মধ্যে পড়াশোনা করেছেন। বাকি 33 জন স্নাতক হয়েছেন বা তার চেয়ে বেশি পড়াশোনা করেছেন।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)