This Article is From Apr 15, 2019

"আমি কি মরে যাব? তাহলেই আপনি আনন্দ পাবেন, না?", আজম খানকে তোপ জয়াপ্রদার

Lok Sabha Elections 2019: প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টিতে থাকার সময় জয়াপ্রদা(Jaya Prada) রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া ,

ফের আজম খানের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন জয়াপ্রদা

লখনউ:

প্রাক্তন দলীয়কর্মী ও পরে 'ঘোর শত্রু'তে বদলে যাওয়া সমাজবাদী পার্টির আজম খানের (Azam Khan) বিরুদ্ধে ফের তীব্র রোষে ফেটে পড়লেন সদ্য বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়া জয়াপ্রদা(Jaya Prada)। তাঁর কথায়, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চাইলে, নারীদের সুরক্ষা চাইলে কিছুতেই আজম খানকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha election) লড়াই করার অনুমতি দেওয়াই উচিত নয়। সোমবার উত্তরপ্রদেশের রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন অভিনেত্রী জয়াপ্রদা(Jaya Prada) বলেন, "আমার কি মরে যাওয়া উচিত? তাহলে আপনি আনন্দ পাবেন তো"। ৫৭ বছর বয়সী বিজেপি প্রার্থী আরও বলেন, "আপনি কি ভেবেছেন, আমি ভয় পেয়ে গিয়ে রামপুর ছেড়ে চলে যাব? না। আমি যাব না। কথাটা ভালো করে শুনে নিন"। 

আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৭২ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না যোগী আদিত্যনাথ

তিনি বলেন, "কোনওভাবেই আজম খানকে(Azam Khan) এই নির্বাচনে লড়াই করার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। কারণ, এই লোক যদি জিতে যায়, তাহলে গণতন্ত্রের কী হবে? এছাড়া, ওই সমাজে মহিলাদেরও তো জায়গা থাকবে না"!

Advertisement

প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টিতে থাকার সময় জয়াপ্রদা(Jaya Prada) রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। সেই সময় তাঁর প্রচারে সবসময় যে মানুষটি থাকতেন, তাঁর নাম আজম খান। কিন্তু, তারপরই বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহের কারণে ওই সম্পর্কে চিড় ধরে। পরে তা বড় আকার নেয়। এতদিনেও সেই তিক্ততা বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং আরও বেড়ে গিয়ে ভোটের সময় অন্য মাত্রা নিয়েছে। এর আগেও একদিন জনসভা করতে গিয়ে মঞ্চ থেকেই জয়াপ্রদা কেঁদে ফেলেন, আজম খান তাঁকে কীরকম 'অপমান' করেছেন, তা জানাতে গিয়ে।

ঘড়িতে রাত তিনটে, ইস্তফাপত্র হাতে যোগীর বাড়ি গেলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী

Advertisement

অন্যদিকে, রবিবার রামপুরে অখিলেশ যাদবকে পাশে নিয়ে একটি জনসভা থেকে আজম খান বলেন, "১০ বছর ধরে ওই মহিলা রামপুরের মানুষদের রক্ত চুষেছেন। আমিই ওই মানুষটাকে প্রথম রামপুরে নিয়ে আসি। চিনিয়েছিলাম এই অঞ্চলের মানুষ ও রাস্তাঘাট। তাঁর গায়ে যাতে কেউ স্পর্শ পর্যন্ত করতে না পারে, তার দিকেও নজর থাকত আমার। একটিও নোংরা শব্দ ব্যবহার করিনি। ১০ বছর ধরে রামপুরের 'মুখ' হয়ে বসেছিলেন ওই মহিলা। তাঁকে ওই জায়গাটি দিয়েছেন আপনারাই, রামপুরের মানুষরা। কিন্তু, ১৭ বছর কেটে যাওয়ার এখন আপনারা বুঝতে পারছেন তাঁর আসল রূপ! আমি কিন্তু ১৭ দিনেই বুঝে গিয়েছিলাম"।

Advertisement