তাঁকে ঘিরে অনেকের অনেক প্রত্যাশা। দলীয় পদের জন্য তাঁর নাম ঘোষণা হয়ে গিয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগে। এখনও দায়িত্ব নেননি তিনি। শেষমেশ আজ সকালে লখনউ আসছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা। তিনি দলের হয়ে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সংগঠনের কাজ দেখভাল করবেন। তাঁর সঙ্গেই নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর কাজ করবেন। ইতিমধ্যে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। তাঁর আজও আসার কথা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে। থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। খাতায় কলমে রাজনৈতিক জীবন শুরুর আগে পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। শক্তি অ্যাপের মাধ্যমে রবিবার সমর্থকদের প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমি চাই আমাদের সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন আসুক। রাজনীতির পরিসর এমন হোক যেখানে সকলে নিজেকে তার অংশ ভাবতে পারে।
কাল থেকে শুরু মাধ্যমিক, পরীক্ষা চলাকালীন নিজেদের সঙ্গে মোবাইল রাখতে পারবেন না পরীক্ষকরাও
এই তিন নেতা লখনউ বিমান বন্দরে এসে নামবেন। সেখান থেকে তাঁদের স্বাগত জানিয়ে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে লখনউ শহরের কংগ্রেসের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
এই কার্যালয় থেকেই সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি। জানা গিয়েছে আগামী তিন চার দিন উত্তরপ্রদেশেই থাকছেন প্রিয়াঙ্কা। বিভিন্ন এলাকার নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সংগঠনের হাল হকিকত বুঝে নেবেন তিনি। দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ৮০ টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৪০ টি নিয়ে বৈঠক করবেন বলে খবর। এরপর দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর। তবে এই সফরে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কয়েকটি জায়গাতেও যেতে পারেন।
তাঁকে ঘিরে আশায় বুক বাঁধছে কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল ভাল হয়নি মোটেই। বিধানসভা নির্বাচনে জোট করেও সুফল পায়নি কংগ্রেস। এবার আবার বিজেপি বিরোধী জোটে ঠাই হয়নি কংগ্রেসের। এমতাবস্থায় উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল করতে প্রিয়াঙ্কার উপরেই আস্থা রাখছে কংগ্রেস। পূর্ব উত্তরপ্রদেশ একদা কংগ্রেসের গড় ছিল। জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী জিততেন এই এলাকা থেকে। তবে গত কয়েক দশকে এখানে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপিও।