তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় বি নায়েক।
হাইলাইটস
- রাজ্যে বিজেপি সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে দাবি মমতার
- সরকারি আধিকারিকদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে বিজেপিঃ মমতা
- রাজ্যে এসেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েক
কলকাতা: বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যে সমান্তরাল সরকার (Parallel Government ) চালানোর অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নদিয়ার গয়েশপুরের সভা থেকে রবিবার মমতা বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক কায়দায় নির্বাচিত সরকার। কিন্তু বিজেপি দিল্লি থেকে সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে। সরকারি আধিকারিকদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছে এটা অসাংবিধানিক পদক্ষেপ। তৃতীয় দফা ভোটের ঠিক আগে রাজ্যে এসেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েক তিনি বলেছেন বাংলার এখন যা অবস্থা তা ১০-১৫ বছর আগের বিহারের মতো। এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মমতা বলেন সরকারি আধিকারিকরা রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ভাষায় কথা বলছেন কিন্তু তবু বাংলায় একটি আসনও পাবে না বিজেপি।
বাংলার ভোটাররাই কেন্দ্রীয় বাহিনী চায়, দাবি বাবুলের
তাঁর কথায়, ‘সরকারের মানুষ ভোট দিয়ে ৫ বছরের জন্য আমাদের নির্বাচিত করেছে। কিন্তু বিজেপি সংবিধানের রীতিনীতি ভেঙে সমান্তরাল সরকার চালানোর চেষ্টা করছে। প্রতিদিন দিল্লি থেকে নতুন লোক বাংলায় পাঠাচ্ছে বিজেপি কীভাবে রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়া যায় সে চেষ্টাই করছে। বাংলা আর বিহারকে এক করে দেখিয়ে বাংলাকে অসম্মান ছাড়া আর কিছুই করা হচ্ছে না। একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিক রাজনৈতিক নেতার ভাষায় কথা বলছেন। আমি সরকারি আধিকারিকদের শ্রদ্ধা করি কিন্তু কিছু কিছু মানুষ অন্যায় করেন। বাংলার ভোটাররা এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে।
তৃতীয় দফার ভোটের আগে রাজ্যে এসে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় বি নায়েক। তাঁর মনে হয় পশ্চিমবঙ্গের এখনকার অবস্থার সঙ্গে ১০-১৫ বছর আগের বিহারের পরিস্থিতির তেমন কোনও ফারাক নেই। তিনি বলেন, ‘ পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ১০-১৫ বছর আগের বিহারের মতো। কিন্তু বিহারের ভোটাররা পরিস্থিতি বদলাতে পারলে বাংলা কেন পারল না? পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন পরিস্থিতি সামাল দিতে বিহারের প্রচুর পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হত আর এখন পশ্চিমবঙ্গেও সেটাই করতে হবে। রাজ্যের সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।' একটা সময় বিহারের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক হিসেবে কাজ চালিয়েছেন অজয়। রাজ্যে দু'দফা ভোট হয়ে যাওয়ার পর তাঁকে বিশেষ পর্যবেক্ষক করে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন।