মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিজেপির গুন্ডারা পশ্চিমবঙ্গে অস্ত্র হাতে মিছিল করছে
হাইলাইটস
- প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী
- মমতা বলেন, নোটবন্দির মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করে ভোট কিনছে বিজেপি
- গুন্ডা নিয়ে এসে রাজ্যে ভোট করাতে চাইছে গেরুয়া শিবিরঃ মমতা
শ্রীরামপুর, পশ্চিমবঙ্গ: নির্বাচনী জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Bannerjee)। শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে বুধবার মমতা বলেন, নোটবন্দির মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করে ভোট কিনছে বিজেপি! শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রীর দাবি বন্দুক এবং গুন্ডা নিয়ে এসে রাজ্যে ভোট করাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না বলেই তিনি মনে করেন। তাঁর কথায়, ‘মোদীবাবু আপনি জোর করে নোটবন্দি করতে পারেন। কালো টাকাকে সাদা করে ভোট কিনতেও পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের কেনা যায় না। এবারের লোকসভা নির্বাচনের পর আপনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়া নিশ্চিত। আমাদের সরকার প্রমান করবে নোটবন্দি আসলে একটি বড় দুর্নীতি ছিল।
স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে হত্যা করে পালানো ইঞ্জিনিয়ারকে খুঁজছে পুলিশ
বক্তব্যের একটি অংশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিজেপির গুন্ডারা পশ্চিমবঙ্গে অস্ত্র হাতে মিছিল করছে। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এই ধরনের সমস্ত অপচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দেন মমতা। অন্য জনসভার মতো এ দিনও মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় এ রাজ্যে বিজেপি একটি আসনও পাবে না। তৃণমূল ৪২ টির মধ্যে সবকটিতেই জিতবে। মুখ্যমন্ত্রী যেদিন মোদীকে একহাত নিচ্ছেন, সেদিনই রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী। তিনিও মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনায় সরব হন। স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের ‘সুদিন ফেরাতে' বিজেপিকে ভোট দেওয়া আবশ্যক। তিনি বলেন, একটা সময় বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে মমতা সংসদে দরবার করতেন। আর এখন ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের সাহায্য করছেন।
ক্ষমতা থাকায় জন্য কীভাবে ডিগবাজি খেতে হয় তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর চেয়ে বড় উদাহারণ দেশের রাজনীতিতে নেই। স্পিড ব্রেকার দিদি বাংলার ভবিষৎ নষ্ট করেছেন। দেশের অন্য রাজ্যে যে উন্নয়ন হচ্ছে বাংলায় রাজ্য সরকার সাহায্য না করায় তা হচ্ছে না। কিন্তু দিদির কাছে গুণ্ডাতন্ত্র আছে আর আমাদের কাছে আছে লোকতন্ত্র। বাংলায় দিদির সূর্যাস্তের সময় হয়ে এসেছে। বাংলা থেকে দিদি সরে গেলে আরও বেশি করে উন্নয়নের কাজ হবে।