This Article is From Apr 30, 2019

"আমাদের কোন বিধায়ক যোগাযোগ রেখেছে, খুঁজে দেখান", মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার

মমতা বললেন, "আমি চ্যালেঞ্জ করছি, পারলে একজনকে খুঁজে দেখান! আমার দল আপনাদের দলের মতো চুরি করে না"।

"আমাদের দল আপনাদের মতো চুরি করে না", মোদীকে তোপ মমতার।

হাইলাইটস

  • "আমার দল আপনার দলের মতো চুরি করে না", মোদীকে তোপ মমতার
  • তিনি বলেন, "মোদীর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার অধিকার নেই"
  • ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, দাবি করেন মোদী
নিউ দিল্লি:

৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi), সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে এবার রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মমতা বললেন, "আমি চ্যালেঞ্জ করছি, পারলে একজনকে খুঁজে দেখান! আমার দল আপনাদের দলের মতো চুরি করে না"। প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে দৃশ্যতই ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, এমন মন্তব্য 'অসাংবিধানিক' এবং 'বেআইনি'। তিনি বলেন, "আপনার লজ্জা করে না? আবার বড় বড় কথা! উনি নাকি সংবিধানের রক্ষাকর্তা! গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা! একটা সাংবিধানিক পদে থাকা সত্ত্বেও রোজ রোজ ওই পদের সম্মান নষ্ট করছে। শুনুন এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী, আপনার একদিনও প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার কোনও অধিকার নেই"!

প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে মোদী বলেন, "দিদি, ২৩ মে চারদিকে শুধু পদ্মফুল ফুটবে। আর আপনার দলের বিধায়করা সব দল ছেড়ে পালাবে! দিদি, আপনি শুনুন, এমনকি আজও, আপনার দলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন"।

মোদীজি আপনি ফাইল পুড়িয়ে রেহাই পাবেন নাঃ রাহুল

ধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্রমাগত নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) বেঁধে দেওয়া মডেল কোড অব কন্ডাক্ট (Model Code of Conduct) লঙ্ঘন করছেন, এই অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি চিঠি লিখল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয় যে, ঘোড়া কেনাবেচায় উৎসাহ দিয়ে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী এবং বিভিন্ন মিথ্যে কথা বলে ভোটারদের ভুলপথে চালিত করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও'ব্রায়ান একটি চিঠি লিখে সেটি সোমবার নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেন। সেখানে লেখা হয়, প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। ডেরেক জানান, তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে, এমন কাজ বা এমন দাবি একজন প্রধানমন্ত্রী কখনওই করতে পারেন না।

ওই চিঠিতে তৃণমূল বলে, “তিনি রীতিমত ভোটারদের উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ‘তৃণমূল কংগ্রেসের বহু বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন'- এই দাবি করার মধ্যে ভোটারদের ভুলপথে চালিত করার উদ্দেশ্যটি স্পষ্ট। আমরা এই ধরনের প্রচারের বিরুদ্ধে কঠোরতম ভাষায় প্রতিবাদ করি। নির্বাচন সংক্রান্ত ঘোড়া কেনাবেচার ক্ষেত্রেও এই ধরনের মন্তব্য প্রবল উসকানি দেয় বলে মনে করছি আমরা”।

নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূল জানাল, তারা চায় এই অযৌক্তিক প্রচারপদ্ধতির ও প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক কমিশন।

রাফাল কাণ্ডে নতুন হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাইবেন রাহুল

অন্যদিকে, এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের একটি জনসভা থেকে সোমবার মমতা বলেন, “আরে পাঁচ বছরে একটা কাজের কথা তো বলুন, যেটা আপনি (প্রধানমন্ত্রী) করেছেন! করেছেন, তবে ভালো কাজ তো কিছুই করেননি! আপনি ‘আচ্ছে দিন' নিয়ে আসবেন বলে ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করল। মোদীর আচ্ছে দিন মানে কৃষকের মৃত্যুদিন। মোদীর আচ্ছে দিন মানে ৩ কোটি ছেলেমেয়ের চাকরি চলে যাওয়ার দিন। মোদীর আচ্ছে দিন মানে নোটবাতিল করে আপনাদের ব্যবসাকে ডুবিয়ে দেওয়ার দিন। নোটবাতিল করে জনগণকে ডুবিয়ে দেওয়ার দিন। এদিনই মুখ্যমন্ত্রী  বলেন  বিজেপি কোনও অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে ১৭টির বেশি আসন পাবে না।  কংগ্রেস পাবে  সাতটির মতো আসন। আর সপা- বসপা জোটের ফল খুব ভাল  হবে। ২০১৪ সালে  এই উত্তরপ্রদেশে ৭৩টি আসন পেয়েছিল এনডিএ। সেটাই তাদের দিল্লির দিকে এগিয়ে দেয়।   নির্বাচনের প্রচারে বার বার  মমতা বলেছেন, “সাড়ে চার বছর ধরে শুধু প্লেনে করে ঘুরে বেড়িয়েছে আর বিরোধীদের চমকেছে! বিরোধীদের পিছনে সিবিআই লাগিয়েছে! এছাড়া আর কোনও কাজ করেনি এই এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী"!

.