মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন অমিত শাহ
কলকাতা: সোমবার একটি জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ(Amit Shah)। তিনি বলেন, ভোটে হেরে যাওয়ার ভয় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিচ্ছেন। তাঁর কথায়, "দিদি যাই করুক, এবারে এই রাজ্য থেকে ২৩'টি আসনেই জিতব আমরা"। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের মোট ৪২'টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২০১৪ সালে ৩৪'টি লোকসভা আসনেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বছর কংগ্রেস চারটি আসনে জেতে এবং বামফ্রন্ট জয়ী হয়েছিল দুটি আসনে। এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য বাংলাকে ‘পাখির চোখ' করেছে বিজেপি, অনেকদিনই। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় দফার ভোট। এই দফায় রাজ্যের মোট পাঁচটি লোকসভা আসনে ভোট হবে। বাকি চার দফায় আরও ৩২'টি লোকসভা আসনে ভোট হবে। শেষ দফার ভোট ১৯ মে।
রবিবার শেষ হল রাজ্যে তৃতীয় দফায় ভোটের প্রচার
রবিবার কলকাতায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে অমিত শাহ(Amit Shah) বলেন, “মানুষ যখন পরিবর্তনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, তখন কেউ তাকে থামাতে পারে না। কোনও হিংসা সেই সিদ্ধান্তকে বদলাতে পারে না। মমতা দিদির এই কথাটা মাথায় রাখা উচিত। তার কারণ, বামপন্থীরাও এই রাজ্যে রীতিমত হিংসার চাষ করত এক সময়। তারপরও ক্ষমতায় আসেন তিনি। এবার বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়াবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন”।
সভায় লোক হচ্ছে না বলে মমতা মিছিল করছেনঃ অমিত
তিনি আরও বলেন, “২০১১ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকার সময় বহু পুলিশ অফিসারকে বদলে দেওয়া হয়েছিল। তখন কিন্তু দিদি একটা টু” শব্দও করেননি। আর এখন যখন নির্বাচন কমিশন ওই কাজটাই করছে, তখন তিনি বলছেন যে, একটি সমান্তরাল সরকারও নাকি চলছে কেন্দ্রের সঙ্গে। তাঁর মনে ভয় ঢুকে গিয়েছে, দলের গুন্ডারা যদি দাপট দেখাতে না পারে তাহলে ভোটে ভালো ফল করবেন কী করে”?
"বিজেপি-আরএসএস সাহায্য করছে তাঁকে..." মমতার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়
সাধ্বী প্রজ্ঞাকে নিয়েও নিজের মতামত জানান অমিত শাহ। বলেন, “সাধ্বী প্রজ্ঞার নামে মিথ্যে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি হিন্দু সন্ত্রাস ও গেরুয়া সন্ত্রাসে মদত দিয়েছেন। এই মিথ্যে অভিযোগগুলি করে অভিযোগকারীদের কী লাভ হল, জানি না। আদালত থেকে তো প্রমাণ হয়েই গিয়েছে যে, সাধ্বী প্রজ্ঞা সম্পূর্ণ নির্দোষ”।
তাঁর প্রশ্ন, “সাধ্বী প্রজ্ঞা আর স্বামী অসীমানন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা রুজু হয়েছিল, তা তো প্রমাণিত। তাহলে আসল দোষীরা কোথায়”?
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)