কল্যাণী: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আক্রমণ আরও একধাপ চড়া করে বুধবার বিজেপির প্রধান সভাপতি অমিত শাহ বললেন যে, “কাশ্মীরকে ভারতের থেকে পৃথক করে দিয়ে দেশভাগ করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে রয়েছেন মমতা। তবে, ক্ষমতায় যে-ই থাকুক না কেন, কাশ্মীরকে ভারতের অখণ্ড অংশ হিসেবে ধরে রাখার জন্য তাঁদের দল সবসময়ই চেষ্টা করে যাবে। “আজ আমরা ক্ষমতায় রয়েছি। নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী। সামনের দিনগুলোতেও তিনিই দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। কিন্তু, এমন দিন যদি আসে, যখন বিজেপি আর ক্ষমতায় থাকবে না, কাশ্মীর যাতে ভারতের অংশ থাকে তার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টি'র কর্মীরা প্রাণপণে লড়াই করে যাবেন”, বলেন তিনি।
'কেষ্টকাকু'র কাছে মধ্যাহ্নভোজ, নিজের দলে প্রশ্নের মুখে অনুপম হাজরা
অমিত শাহের কথায়, “আমরা ক্ষমতায় এলে আর্টিকল ৩৭০ তুলে দেব। যে আর্টিকল ৩৭০-এর জন্য এতদিন ‘বিশেষ রাজ্য'র তকমা পেত কাশ্মীর, তা তুলে নেওয়া হবে। আপনারা বাংলায় বিজেপিকে ৩০'টি আসনে জিতিয়ে দিন, আমি কথা দিচ্ছি পরবর্তী বিজেপি সরকার কেন্দ্রে আসার পরেই আমরা আর্টিকল ৩৭০ তুলে দেওয়ার বন্দোবস্ত করব”।
তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরের নেতা ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ওমর আবদুল্লার এই দেশে দুই প্রধানমন্ত্রীর যে দাবি, তা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
"আমাদের কোন বিধায়ক যোগাযোগ রেখেছে, খুঁজে দেখান", মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার
“মমতা দিদি তাঁদেরই সমর্থন করছেন, যাঁরা ভারতকে ভাগ করার কথা ভাবছে। ওমর আবদুল্লা যে এই দেশে দুই প্রধানমন্ত্রীর দাবি জানিয়েছেন, তা নিয়ে মমতা দিদি কী মনে করেন, আমরা সেটা জানতে চাই”, বলেন তিনি।
ক্ষমতায় এলে যে ‘বহিরাগত'দের তাড়াবেন, সেই কথাটিও জনসভা থেকে ফের একবার পরিষ্কারভাবে রীতিমত হুঙ্কার দিয়ে জানিয়ে দিলেন বর্তমান ভারতীয় রাজনীতির ‘চাণক্য'।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছাড়া সিপিএমের সব নেতা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে: মমতা
“আমরা যে দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি চালু করব, তা তো বহুবারই বলেছি। বহিরাগতদের তাড়ানোর জন্য এর থেকে ভালো উপায় আর নেই। এই বহিরাগতরা হল উইপোকার জাত। দেশের মধ্যে থেকে দেশের সমস্ত সম্পদ কুড়ে কুড়ে খেয়ে নেবে ওরা। এনআরসি'র মাধ্যমেই তাড়ানো হবে ওদের”।
অন্যদিকে, ক্ষমতায় এলে যে পশ্চিমবঙ্গের চিটফান্ড কেলেঙ্কারীর দোষীদের তিনমাসের মধ্যে শাস্তি দেওয়া হবে সেই প্রতিশ্রুতিও আরামবাগের আরেকটি জনসভা থেকে দিয়ে যান অমিত শাহ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)