This Article is From Apr 17, 2019

"বিজেপির নামে কিছু বললেই ভয় দেখানো শুরু", কানিমোঝির পাশে দাঁড়ালেন মমতা

Lok Sabha elections 2019: তাঁর কথায়, যা শুরু করেছে ওরা, ভাবা যায় না! কী ভেবেছে কী বিজেপি! যা ইচ্ছে তাই করবে নাকি!

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

গতকাল কানিমোঝির বাসভবনে হানা দেয় আয়কর দফতর

কান্দি, মুর্শিদাবাদ:

কেন্দ্রীয় সংস্থা তাঁর বাসভবনে হানা দেওয়ার পরেই ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝির পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘ফাসিস্ত' বলে আক্রমণ করে তিনি বলেন, "নিজের শাসনকালে মোদী একটা জিনিসই করার চেষ্টা করে চলেছেন সবসময়। তা হল, ভয় জিইয়ে রাখা। আর, যে যে দল তাঁর বিরোধিতা করছে, তাঁদের ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাওয়া"। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দিতে একটি জনসভা করতে এসে মমতা বলেন, দক্ষিণ ভারতে বিজেপির বিদ্বেষ ছড়ানোর রাজনীতির বিরোধিতা করার জন্যই ফাঁসানো হল কানিমোঝিকে। তাঁর কথায়, দেশের মানুষ জীবনে এমন প্রধানমন্ত্রী দেখেনি, যাকে শদ্ধা আর ভক্তি করার বদলে ভয় পেতে হয়!

তোষণের রাজনীতি করতেই ফিরদৌসকে দিয়ে প্রচার করিয়েছে তৃণমূলঃ বাবুল সুপ্রিয়

তাঁর কথায়, “যা শুরু করেছে ওরা, ভাবা যায় না! কী ভেবেছে কী বিজেপি! যা ইচ্ছে তাই করবে নাকি! যারা ওদের বিরুদ্ধে একটা কথা বলছে, তাদের বাড়িতেই কেন্দ্রীয় সংস্থাদের পাঠিয়ে দিচ্ছে! এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে! কোনও কারণ ছাড়াই মঙ্গলবার ডিএমকে'র নেত্রী কানিমোঝির বাড়ি হানা দিল আয়কর দফতর। কেন? তার একটাই কারণ, ডিএমকে এবং ডিএমকে'র নেতা স্ট্যালিন ক্রমাগত বিজেপি'র সব ধরনের জঘন্য কাজের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিল। মুখ খুললে চলবে না! ওরা অন্যায় করে যাবে, আর ওদের অন্যায় মুখ বুজে মেনে নিতে হবে! এই কারণেই ডিএমকে নেতৃত্বকে এভাবে অপমানিত হতে হচ্ছে বিজেপি'র কাছে”।

Advertisement

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঝাঁটা হাতে তাড়া করতে বললেন তৃণমূল বিধায়ক

প্রসঙ্গত, কানিমোঝির তুতিকোরিনের বাড়িতে মঙ্গলবার হানা দেয় আয়কর দফতর। এই তুতিকোরিন লোকসভা কেন্দ্র থেকেই লড়াই করছেন কানিমোঝি। এই ঘটনার পর একটি বিবৃতি দিয়ে ডিএমকে সভাপতি এম কে স্ট্যালিন বলেন, "তুতিকোরিনে বিজেপি প্রার্থী তামিলিয়াই সৌন্দরারাজন গো-হারান হেরে যাবে, এই ‘ভয়' থেকেই এইসব করছে বিজেপি"!

Advertisement

সেনাকে সামনে রেখে মোদীর মতো ভোট চাইব না: মমতা

মমতা বলেন, “আরে বিজেপি কী করে, সবাই তো জানে! ওরা ধর্মের নামে ভাগ করতে ওস্তাদ! বাংলার সংস্কৃতি, বাঙালির সংস্কৃতি বিজেপিকে সহ্য করবে না! ওরা হিন্দুত্ব নিয়ে এত বড় বড় কথা বলে। আরে আমি নিজে তো হিন্দু! হিন্দু ধর্ম অপরকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়, সম্মান করতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শেখায়। বিজেপির এই হিংসার রাজনীতি মোটেই হিন্দুধর্মের কথা নয়”।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement