election 2019: 'রসগোল্লা' নিয়ে মোদীকে আক্রমণ মমতার।
আসানসোল: এর পরেরবার তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁকে 'রসগোল্লা'র হাঁড়ি পাঠালে তা খাওয়ার আগে অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi)। দিনকয়েক আগেই বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বাংলার মিষ্টি পাঠিয়েছেন। বছরে একবার বা দু'বার হাতে তৈরি কুর্তাও পাঠান। শুক্রবার মোদীর এই দাবির জবাবে মমতা বললেন যে তিনি মোদীকে বাংলার রসগোল্লা পাঠাবেন। তবে ছানার বা স্পঞ্জের নরম তুলতুলে রসগোল্লা নয়, যা মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে। তাহলে কী রসগোল্লা পাঠাতে চান তিনি? মমতা বললেন, "আমি নরেন্দ্র মোদীকে রসগোল্লা পাঠাব। তবে, তার ভিতরের থাকবে কাদা আর স্টোনচিপস। যেমনভাবে লাড্ডুতে কাজুবাদাম থাকে, তেমন। একটা কামড় দেবে, দাঁত ভেঙে পড়ে যাবে। এরকম ধরনের মিষ্টি আমি পাঠাব এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রীকে"।
দ্য গ্রেট খালি কলকাতায় এলেন দেখলেন প্রচার করলেন
শুক্রবার আসানসোলের জনসভায় এসে এই কথা বলেন মমতা। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার আসানসোলের একটি জনসভাতে দাঁড়িয়েই মোদী বলেছিলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর পদটি নিলামের জন্য নয়'।
অক্ষয় কুমারের একটি প্রশ্নের জবাবে মোদী বলেছিলেন, "আমি জানি না, এই কথাটি বলার জন্য রাজনৈতিকভাবে আমার কোনও ক্ষতি হবে কি না। তবে, ঘটনাটি হল, মমতা দিদি আমাকে প্রতি বছরই বেশ কয়েকটি কুর্তা পাঠান উপহার হিসেবে। এছাড়া, তিনি যখন জানতে পেরেছিলেন যেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বিশেষ ধরনের বাঙালি মিষ্টি পাঠান, তারপর থেকে তিনিও আমাকে বছরে একবার কি দু'বার বাংলার মিষ্টি পাঠাতে শুরু করেন"।
বাঁকুড়ার মতো আসানসোলেও মিরাকেল করতে পারবেন মুনমুন?
ওইদিনই মমতা বলেছিলেন, অতিথিকে আপ্যায়ন করার সময় মিষ্টি আর উপহার দেওয়া বাংলার রীতি। তারপরই তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, "উনি এরপরও বাংলা থেকে রসগোল্লাই পাবেন! কারণ, একটা আসনও তো জিতবেন না"!
শুক্রবারের ভঙ্গিটি তুলনায় ছিল বেশি আক্রমাণাত্মক।
গত মঙ্গলবার আসানসোলে মোদী বলেছিলেন, "আমাদের মমতা দিদি তো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন! প্রধানমন্ত্রীর পদটা যদি নিলাম হতো, তাহলে কংগ্রেস আর মমতা মিলে ওঁদের সমস্ত দু্র্নীতি আর লুঠের টাকা একজোট করে ওই পদটিকে কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠত। দিদি, শুনুন এই প্রধানমন্ত্রীর পদটা সারদা বা নারদার টাকা দিয়ে কেনা যায় না। এর জন্য চাই ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আশীর্বাদ"।