মমতা জানান অসম থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি রাজ্যে প্রার্থী দেবে তৃণমূল।
হাইলাইটস
- নাগরিকত্ব আইনকে ললিপপের মতো ব্যবহার করছেন মোদীঃ মমতা
- অসমের নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত হয়ে শুক্রবার এ কথাই বলেন মমতা
- অসমের মোট ১৪ টি আসনের মধ্যে ৯টিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল
কলকাতা: এনআরসি (NRC) আর নাগরিকত্ব আইনকে (Citizenship Act) ব্যবহার করে অসমের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। ললিপপের মতো এই দুটি জিনিস তাঁদের সামনে হাজির করছেন তিনি। অসমের নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত হয়ে শুক্রবার এ কথাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2019) এ রাজ্যের মোট ১৪ টি আসনের মধ্যে ৯টিতে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতে অসম আসেন মমতা। বাংলার ৪২ টি আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণার সময় মমতা জানান অসম থেকে শুরু করে আরও কয়েকটি রাজ্যে প্রার্থী দেবে তৃণমূল। এছাড়া এবার অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন মমতা।
আদবানীর মতো মহান মানুষ বিজেপিকে শক্তিশালী করেছেন গর্ব হচ্ছেঃ মোদী
এনআরসি বিতর্ককে হাতিয়ার করেই ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে জোড়া ফুল শিবির। সাংগঠনিক শক্তি তেমন না থাকলেও নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক হয়েছে তাকে সম্বল করেই ভালো ফলের আশা দেখছে বাংলার শাসক শিবির। সভা থেকে এই বিষয়কেই হাতিয়ার করেন মমতা। তিনি বলেন, "৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ যাওয়ার পর আমরাই তাদের পাশে ছিলাম। অন্য কোনও দল তাদের পাশে থাকেনি কিন্তু আমরা ছিলাম। এটা শুধু হিন্দু মুসলমানের ব্যাপার নয়। ২২ লাখ মানুষের নাম বাদ হয়েছে। এর মধ্যে ২২ লাখ হিন্দু ছাড়া মুসলমান থেকে শুরু করে অন্য ধর্মের মানুষ আছেন। সিটজেনশিপ বিল আরেকটা ললিপপ। এই দুটো দিয়েই মানুষকে বোকা বানাবার কাজ হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে যাঁরা এ দেশে এসছেন তাঁরাই শুধু নাগরিক। বাকিদের বিদেশি বানিয়ে ছাড়া হচ্ছে"। এদিকে এদিনের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে মমতা বলেন, পাঁচ বছর আগে নিজেকে চাওয়ালা বলে ভোট চাইলেন আর আজ হয়ে গেলেন চৌকিদার!
মোদীর স্পিড ব্রেকার দিদি মন্তব্যের পালটা দিতে তৃণমূলের হাতিয়ার এই তিনটি শব্দ
গত বছর এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে অসমের চল্লিশ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যায়। তাতে বাঙালির সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্র করেন মমতা। তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল অসম পৌঁছয়। কিন্তু তাদের শিলচর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। তা নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন পাস করানোর জন্য মরিয়া মনোভাব নিয়েছিল বিজেপিও। কিন্তু এখনও তা আটকে আছে।
(সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্য সংযোজিত হয়েছে )
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)