কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের কথা বললেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ আবশ্যিক ভাবে চলে আসে। এবারের নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2019) তিনি প্রার্থী নন ঠিকই কিন্তু আগে ৬ বার কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করায় এই আসন আর মুখ্যমন্ত্রী কার্যত সমার্থক। কালীঘাটের বাসিন্দা বলে মুখ্যমন্ত্রী এই কেন্দ্রেরই ভোটার। লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে আর বিন্দুমাত্র সময় নেই। সব দলই প্রচার করছে। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের কাজ শুরু করেছেন। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন (KMC Chairperson)মালা রায়কে। বালিগঞ্জে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রচার করেন মালা। দীর্ঘদিন কাউন্সিলর থাকায় এলাকায় তাঁর পরিচিতিও আছে। তাছাড়া গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে এই আসন থেকে ভোটেও লড়েছিলেন তিনি।
মোদীর স্পিড ব্রেকার দিদি মন্তব্যের পালটা দিতে তৃণমূলের হাতিয়ার এই তিনটি শব্দ
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী মালা বলেন, ‘ এই আসন তৃণমূলের শক্তঘাঁটি। অন্য কোনও দল এখানে সুবিধা করতে পারবে না। দক্ষিণ কলকাতার মানুষ মমতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। রাজ্যের ৪২টি আসনে তিনি- ই প্রার্থী। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ। সমাজের উচ্চবিত্তদের প্রভাব কিছুটা বেশি এই আসনে। এক সময় কংগ্রেসের প্রভাব ছিল এই এলাকায়। এখন তৃণমূলের বাড়বাড়ন্ত। এই আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে মিতা চক্রবর্তীকে। লন্ডনের এই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারকে রাজনীতি এনেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তিনি বলেন, এই লড়াই আমার কাছে নিশ্চয় বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু মনে রাখতে হবে এখান থেকে আগে কংগ্রেসের টিকিটেই জিততেন মমতা। এখানে এখনও কংগ্রেসের অনেক পুরনো ভোটার আছেন। তাঁদের ভোট ফিরিয়ে নিয়ে আসাই আমার কাজ।
সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় চান মমতার বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে। তিনি বলেন আমি ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে ভোট প্রচার করে এসেছি। কিন্তু হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি আমাকে। ঢুকতে পারলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতাম। আমি সবার কাছে ভোট চাইছি তাই ওঁর কাছেও একই আবেদন করতাম।
এই কেন্দ্রের একমাত্র পুরুষ প্রার্থী বিজেপির চন্দ্র বসু। নেতাজির পরিবারের সদস্য। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে ছিলেন। তবে সেবার তাকে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছিল। এবার ভাল হবে বলে মনে করেন তিনি।