বিজেপির দাবি বিরোধীরা নিজেদের হার সম্পর্কে নিশ্চিত বলে অভিযোগ করছে।
হাইলাইটস
- সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিরা নিজেদের পুরনো অবস্থানে অনড় থাকলেন
- তাঁরা জানিয়ে দিলেন রায় বদল করার কোন প্রয়োজন নেই
- তাঁরা জানিয়ে দিলেন রায় বদল করার কোন প্রয়োজন নেই
নিউ দিল্লি: বেশি সংখ্যক ভি ভি প্যাট গোনা হবে না, বিরোধীদের দাবি খারিজ করে রায় সুপ্রিম কোর্টের (Top Court)। দেশের ২১ টি বিরোধী দল বলেছিল প্রতিটি লোকসভার মধ্যে থাকা বিধানসভা কেন্দ্রের (Assembly Segments) কম করে ৫০ শতাংশ ভি ভি প্যাট গোনা হোক। সেই আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। এর আগেও একবার একই রায় দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এবারও নিজেদের রায় পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখল না আদালত । গত ৮ এপ্রিল এ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হয়। সে সময় নির্বাচন কমিশনের (Election Commission তরফে বলা হয়েছিল প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের (Loksabha Constituency) জন্য ব্যবহৃত ইভিএমের ৫০ শতাংশ ইভিএম (Electronic Voting Machines ) গুণলে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতে অনেক সময় লেগে যাবে। সেটা শুনে সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল বেশি করেই ভিভিপ্যাট গুনতে হবে। ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করতে হবে। এরপর বিরোধী দলগুলোর দাবি জানায় ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট না গোনা হলে মানুষের রায়ের প্রতিফলন সম্ভব নয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিরা নিজেদের পুরনো অবস্থানে অনড় থাকেন। তাঁরা জানিয়ে দিলেন রায় বদল করার কোন প্রয়োজন নেই।
এবারই প্রথম লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে। এর সাহায্যে একজন ভোটার দেখতে পান তিনি যে প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন ভর্তি তিনিই সেটি পেয়েছেন কিনা। বিরোধীদের দাবি নির্বাচনে জিততে ইভিএম গুলিতে নানা রকমের কারচুপি করে বিজেপি। তাই তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ করতে ভি ভি প্যাট জরুরি।
কমিশন প্রথম থেকেই বলে আসছে ইভিএমে কোনওরকম কারচুপি করা যায় না। গত জানুয়ারি মাসে কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিরোধী দলের নেতারা কলকাতার ব্রিগেড মাঠে দাঁড়িয়ে দাবি করেছিলেন ইভিএম যদি সুরক্ষিত করা না যায় তাহলে কোনওভাবেই বিজেপিকে পরাজিত করা যাবে না। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিরোধী দলগুলি। ২১ টি দল একযোগে নিজেদের আবেদন জানায় শীর্ষ আদালতে। দীর্ঘ শুনানি পর নিজেদের রায় দিলেন বিচারপতিরা।
যদিও প্রথম থেকেই বিজেপির দাবি বিরোধীরা নিজেদের হার সম্পর্কে নিশ্চিত। তাই এখন থেকেই ইভিএমকে দোষ দেওয়া শুরু করেছে। বছর দুয়েক আগে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের পর ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। তাছাড়া পুরসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর একই দাবি করেছেন আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরকমই নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে ইভিএমের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফা শেষ হওয়ার পর আদালত জানিয়ে দিল বেশি সংখ্যায় ভি ভি প্যাট গোনার দরকার নেই।