হাইলাইটস
- সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিল না আদালত লোকসভা ভোটে লড়তে পারবেন না হার্দিক
- ২০১৫ সালের একটি মামলায় দু বছর সাজা হয়েছে হার্দিকের
- হাইকোর্টে নিজের সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন হার্দিক
নিউ দিল্লি: লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2019) লড়তে পারেবন না পাতিদার আন্দোলনের (Patidar Movement) নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel) । ২০১৫ সালের একটি মামলায় দু বছর সাজা হয়েছে হার্দিকের। এরপর ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে গুজরাট হাইকোর্ট জানায় তাঁকে জেলে থাকতে হবে না কিন্তু তাঁর সাজা এখনও মুকুব হয়নি। নতুন নিয়ম অনুসারে সাজা পেয়েছেন এমন কেউ ভোটে লড়তে পারেন না। সাজার উপর স্থগিতাদেশ এলে তবেই ভোটে লড়তে পারেন তিনি। সেই কারণে নিজের সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন হার্দিক। তবে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গেল। সংরক্ষণের দাবিতে ২০১৫ সালে গুজরাটে পাতিদার সম্প্রদায়ের তরফে আন্দোলন হয়। সেই মামলাতেই সাজা হয়েছিল হার্দিকের। এ মাসের ৮ তারিখ গুজরাট হাইকোর্টে নিজের সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন হার্দিক। গতকাল গুজরাট সরকার বিরোধিতা করে। তারপরই আদালত জানায় সাজার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না।
"গোটা বিশ্বে ঘুরে বেড়ালেন, অথচ নিজের কেন্দ্রেই এলেন না", মোদীকে আক্রমণ প্রিয়াঙ্কার
সপ্তাহ দুয়েক আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Congress President Rahul Gandhi) উপস্থিতিতে দলে যোগ দেন হার্দিক। আমেবাদে এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হওয়ার পর গুজারটের জামনগর আসন থেকে তাঁর লড়ার সম্ভবনাও তৈরি হয়। এখন এই কেন্দ্রের সাংসদ পুণমবেন ম্যাডাম।
এর আগে ২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের (Gujrat Assembly Election) সময়ও কংগ্রেসকে সাহায্য করেছিলেন হার্দিক। সেই নির্বাচনে ১৮২ আসনের মধ্যে ৮১টিতে কংগ্রেস জিতেছিল। সেই নয়ের দশকে সরকার হওয়ার পর থেকে কখনও বিজেপির ফল গুজরাটে এত খারাপ হয়নি। গত লোকসভা নির্বাচনে গুজরাটের ২৬টি লোকসভা আসনের মধ্যে সবকটিতেই জিতেছিল বিজেপি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) ভাল হওয়া এবং হার্দিকের মতো পরিচিত মুখকে দলে পাওয়ায় ভাল ফল করার আশা করছে কংগ্রেস। কিন্তু ভোট প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ধাক্কা খেতে হল।