This Article is From Apr 23, 2019

কেমন ভোট হল জঙ্গিপুরে, এগিয়ে কে, জানুন বিস্তারিত

এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ৭'টি বিধানসভা হল রঘুনাথগঞ্জ, লালগোলা, নবগ্রাম, খারাগ্রাম, সুতি, জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি।  নবগ্রাম আসনটি সংরক্ষিত।

কেমন ভোট হল জঙ্গিপুরে, এগিয়ে কে, জানুন বিস্তারিত

এই কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ৭৮.৫৮ শতাংশ।

কলকাতা:

জঙ্গিপুর লোকসভা আসনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ৩,৭৮,২০১'টি ভোট পেয়ে জয়ী হন। সিপিএমের মুজফফর হুসেন ৩,৭০,০৪০'টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এই আসনে ১৯৬৭ সাল থেকে ভোট হচ্ছে। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত  এই কেন্দ্র ছিল কংগ্রেসের দখলে। তারপর ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই আসনে সিপিএম প্রার্থীরাই আধিপত্য বজায় রেখে নির্বাচনে বিজয়ী হন।  ১৯৯৬ সালে ফের ছবিটা বদলায় কিঞ্চিৎ। এই কেন্দ্র থেকে জিতে যায় কংগ্রেস। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪  সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র ফের সিপিএম-ময়।  এই আসনটি তখন পুরোপুরি লালে-লাল। তারপর ফের  ২০০৪ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই লোকসভা কেন্দ্রটি রয়েছে কংগ্রেসের দখলে। ২০০৪ সাল এবং ২০০৯ সালে পরপর দু'বার এই কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। ২০১২ সালে প্রণব রাষ্টরপতি পদে আসীন হওয়ার পর থেকে প্রথমে উপনির্বাচনের মাধ্যমে এবং তারপর পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনের মাধ্যমেই এই কেন্দ্রের সাংসদ হন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।  

কবে প্রথম ভোট হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে?

এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ৭'টি বিধানসভা হল রঘুনাথগঞ্জ, লালগোলা, নবগ্রাম, খারাগ্রাম, সুতি, জঙ্গিপুর, সাগরদিঘি।  নবগ্রাম আসনটি সংরক্ষিত।

কংগ্রেসের হয়ে এবারেও দাঁড়িয়েছেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। নিজের জয়ের ব্যাপারে প্রবল আত্মবিশ্বাসী তিনি। খলিলুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের। মাফুজা খাতুনকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন জুলফিকার আলি।

এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ১২ হাজার ৭৭৫ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৫৩৮ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৯৪ জন। ‘অন্যান্য' ভোটারের সংখ্যা ৪৩ জন। মোট প্রার্থী ১১ জন। এই কেন্দ্রে ১,৭৬২ জন আধা সেনা জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল ভোটপর্বটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার উদ্দেশ্যে। এই কেন্দ্রে মোট ভোট পড়েছে ৭৮.৫৮ শতাংশ।

এই কেন্দ্রে কে হাসবে শেষ হাসি, তা জানা যাবে ২৩ মে।

.