বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে তৃণমূলের দখলে। (ছবি প্রতীকী)
কলকাতা: বাংলার রাজনীতি ও সংস্কৃতিতেও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বালুরঘাট লোকসভা আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ বছর আগের সাধারণ সাধারণ নির্বাচনে টিএমসির অর্পিতা ঘোষ এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ৪,০৯,৬৪১'টি ভোট পান তিনি। আরএসপি প্রার্থী বিমলেন্দু ৩,০২,৬৭৭'টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন। ১৯৫২ সালে এই আসনটি আবির্ভূত হয়। ১৯৫২ থেকে ৬২ সাল পর্যন্ত এখানে কংগ্রেসের কর্তৃত্ব ছিল। এরপরে এখানে ১৯৬২-৬৭ সাল পর্যন্ত সিপিআই ক্ষমতায় ছিল। ১৯৬৭-৭৭ সাল পর্যন্ত এই নির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হয়। ১৯৭৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এখানে আরএসপির কর্তৃত্ব ছিল। সেই সময় ‘বালুরঘাট' বলতেই কেবল বোঝাত দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাম-নেতা বিশ্বনাথ চৌধুরীকে। তিনি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী। চিত্রটা বদলায় ২০১১ সাল থেকে।
২০১৪ সালে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেসের অর্পিতা ঘোষ। তিনি রাজ্যের বিশিষ্ট নাট্যকার এবং বুদ্ধিজীবী। জনসাধারণের বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য পরিচিত মুখ। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বাড়তে থাকা হিংসা নিয়ে সরব হওয়া, দীপা কর্মকার সহ আরও বহু খেলোয়াড়দের পাশে থাকা, নাটক সহ সংস্কৃতির অন্যান্য ধারার শিল্পীদের মানবর্ধন এবং নাগরিক বিল নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। যদিও, ২০১৬ সালের পর তিনি আর নিজের কেন্দ্র পা রাখেননি বলেও অভিযোগ সাধারণ মানুষের। এই অঞ্চলের অধীনে ৭' টি বিধানসভা আসন হল ইটহার, কুশমণ্ডি, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট, তপন, গঙ্গারামপুর ও হরিরামপুর।
“পরের পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই চাই” বিজেপিতে যোগ দিয়ে মত সানি দেওলের
বালুরঘাট কেন্দ্রের মোট ভোটারের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৬৭ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯২ হাজার ৭১৬ জন। পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ৭৯৪ জন। ‘অন্যান্য' ভোটার ৫৭ জন। এই কেন্দ্র থেকে লড়াই করলেন ১৩ জন প্রার্থী। মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছিল ১৫৩০'টি।
বালুরঘাট কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। অন্যদিকে, বিজেপি প্র্রার্থী হলেন সুকান্ত মজুমদার। এই কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেয়নি সিপিএম। সাদিক সর্দারকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস।
এই কেন্দ্রে মোট কেন্দ্রীয়বাহিনী থাকবে ৫৮ কোম্পানি। মোট স্পর্শকাতর ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ৫০২'টি। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে ১২২৫'টি বুথে। ভোটকর্মীর সংখ্যা ৬ হাজার ২৬০ জন।