একদম প্রথম দিকে এই লোকসভা কেন্দ্র ছিল কংগ্রেসের দখলে
কলকাতা: বাংলার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই জেলা। শুধু জেলা হিসেবেই নয়, লোকসভা কেন্দ্র হিসেবেও বীরভূমের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৫১ সালে স্থাপিত এই লোকসভা কেন্দ্রটির অন্তর্গত বর্তমান বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল- দুবরাজপুর (তফশিলী জাতি), সিউড়ি, সাঁইথিয়া (তফশিলী জাতি), রামপুরহাট, হাসান, নলহাটি এবং মুরারই। এই লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের শতাব্দী রায়। ২০০৯ সাল এবং ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পরপর জিতে তিনি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের দু'বারের সাংসদ। প্রসঙ্গত,২০০৬ সালে বিভিন্ন লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রের রদবদলের আগে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র ছিল- রাজনগর (তফশিলী জাতি), সিউড়ি, মহম্মদ বাজার, রামপুরহাট, হাসান (তফশিলী জাতি), নলহাটি এবং মুরারই।
কংগ্রেস বা তৃণমূল নয় বামেদের থেকে এই লোকসভা কেন্দ্র ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি
একদম প্রথম দিকে এই লোকসভা কেন্দ্র ছিল কংগ্রেসের দখলে। বিশেষ করে পঞ্চাশ ও ষাট দশকে কংগ্রেস রীতিমত দাপিয়ে বেড়াত বীরভূমে। কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন কমলকৃষ্ণ দাস। বীরভূমের প্রথম সাংসদ। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল অবধি ছিলেন তিনি। তারপর ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন অনিল কুমার চন্দ। ১৯৭১ সাল অবধি বীরভূম জেলা ছিল কংগ্রেসের দুর্গ। চিত্রটির বদল হয় ওই ১৯৭১ সাল থেকেই। তখন রাজ্যে ভরা নকশাল আমল। বীরভূম থেকে লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হলেন সিপিএমের গদাধর দাস। সেই শুরু।
এখন গড় কিন্তু কবে প্রথম বহরমপুরে জেতে কংগ্রেস?
তারপর টানা প্রায় চার দশক পর্যন্ত বীরভূম ছিল লালদের দুর্গ। গদাধর সাহা চারবার পরপর এবং তারপর সিপিএমেরই প্রার্থী ডক্টর রামচন্দ্র ডোম টানা ছ'বার সাংসদ হন এই জেলায়। ১৯৬২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এটি ছিল সংরক্ষিত আসন। ২০০৯ সালে প্রথমবার তৃণমূল ঝড়ে উড়ে যান তিনি। হেরে যান প্রথমবার লোকসভা ভোটে লড়াই করা শতাব্দী রায়ের কাছে। এই কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ১০৮ জন।
বাঁকুড়ার মতো আসানসোলেও মিরাকেল করতে পারবেন মুনমুন?
এই কেন্দ্রের মোট ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াইটি চতুর্মুখী। তৃণমূলের শতাব্দী রায় (বন্দ্যোপাধ্যায়), সিপিএমের মহম্মদ রেজাউল করিম, বিজেপির দুধকুমার মন্ডল এবং কংগ্রেসের ইমাম হোসেনের মধ্যে।