Loksabha ELection: নির্মলা বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি ভোট মিটে গেলেই তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস করবে।
হাইলাইটস
- উপ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ভাটপাড়া
- অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আসনটি খালি হয়
- তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র
কলকাতা: উপ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ভাটপাড়া (Bhatpara Assembly By-Election) । এই কেন্দ্রের বিধায়ক অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আসনটি খালি হয়। সেখানে আজ উপনির্বাচন হচ্ছে। তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। অন্যদিকে অর্জুনের ছেলেকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। ভোট শুরু হওয়ার পর সকাল থেকে দফায় দফায় গোলমাল হয়েছে ভাটপাড়ায়। দুপুরের পর পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গোটা চত্বরে জুড়ে একের পর এক বোমা পড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে।
Elections 2019: বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের “ভয় দেখানো”র অভিযোগ তৃণমূলের
এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে এখানে ভোট শেষ হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দিতে হবে। তাঁর দাবি ভোট গণনা পর্যন্ত রাজ্যে বাহিনী থাকুক। এবার প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন নিয়ে তুমুল চর্চা হয়েছে। এবার সাত দফারতেই ভোট হয়েছে। আর প্রতিটিতেই অল্প বিস্তর গোলমালের খবর পাওয়া গিয়েছে। সপ্তম দফায় ভাটপাড়া গোলমাল বড় আকার ধারণ করে এর পাশাপাশি আরও কয়েক জায়গা থেকেও গোলমালের খবর এসে পৌঁছেছে।
রাজ্যে গণনা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার দাবি করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
নির্মলা বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি ভোট মিটে গেলেই তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাস করবে। আর তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি প্রয়োজন। তৃণমূল সন্ত্রাসের পথ থেকে সরে আসেনি। সকলেই জানে রাজ্যে কারা সন্ত্রাস করছে।'
ভোটের মাঝে মোদির কেদারনাথ সফর ‘অনৈতিক ও অন্যায্য'; কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের
পাল্টা তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েন বলেছেন, ‘বিজেপি নিজের স্বভাবমতো আবার দেশকে ভুল বোঝানোর কাজ শুরু করেছে। আজ বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণ নাগরিকদের অত্যাচার করছে। প্রান্তিক মানুষদের ওপরে বেশি করে আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধকতায় ভোগেন এমন মানুষদের উপরও নেমে আসছে আক্রমণ। কেন্দ্রীয় বাহিনী সাধারণ ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দিতে প্রভাবিত করছে। তাদের বলতে শোনা যাচ্ছে কামাল দাবাও নেহি তো ঠোক দেগা মানে বিজেপিকে ভোট না দিলে প্রাণ চলে যাবে। এদিকে রাজ্যে ভোট সন্ত্রাস প্রসঙ্গে আরও একবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন। আসানসোলে বাবুলের বিরুদ্ধে লড়ছেন তিনি। আসানসোলে ভোটের সময় কিছু গোলমালের খবর মেলে। তখন তিনি বলেছিলেন এ ধরনের ঘটনা শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয় গোটা দেশেই ঘটে। এর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছে। এবারও তিনি বললেন সন্ত্রাসের যে সমস্ত খবর মিলেছে তা খুব বড় কোনও বিষয় নয়। মাঝে মধ্যে এরকম ঘটনা ঘটে থাকে। পাশাপাশি নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন গত ৬ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে মেরুকরণের রাজনীতি বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে। আর সেভাবেই সন্ত্রাসের বীজ বপিত হয়েছে। মনে রাখতে হবে কোনও বাঙালি বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে হাত দেওয়ার সাহস দেখাতে পারে না।