This Article is From Apr 23, 2019

তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হল আজ, জেনে নিন মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের হাল-হকিকত

মোট ১৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা কেন্দ্রটিতে। যেখানে আজ মোট ভোট পড়ল ৮১.৪১ শতাংশ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

ভোট চলছে মুর্শিদাবাদে।

কলকাতা:

২০১৪ সালে মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সিপিএমের বদরুজ্জোহা খান জয়ী হন। তিনি ৪,২৬,৯৪৭'টি  ভোট পেয়েছিলেন। কংগ্রেসের আবদুল মান্নান হোসেন ৪,০৮,৪৯৪'টি  ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।

১৯৫১-৬২ সাল পর্যন্ত এখানে কংগ্রেসের কর্তৃত্ব ছিল। এরপর ১৯৬২-৭১ সাল পর্যন্ত এই আসন নির্দলীদের হাতে ছিল। ১৯৭৭ সালে বিএলডির সৈয়দ কাজিম আলি মির্জা ক্ষমতায় আসেন। যদিও, ১৯৮০ সালেই এখানে সিপিএম নিজের খাতা খোলে। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ছিল সিপিএমের একচেটিয়া আধিপত্য। তাদের কেউই সরাতে পারেনি।  ২০০৪ সালে কংগ্রেস প্রত্যাবর্তন করে এই আসনটিতে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সেই আধিপত্য কায়েম রেখেছিল শতাব্দীপ্রাচীন দলটি।

 ২০১৬ সালের সাতটি বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বামফ্রন্ট৷ তারা তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিল৷ বাকি চারটি কেন্দ্রের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে দুটি ও তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে দুটি করে আসন পেয়েছিল৷ যদিও সেবার বাম কংগ্রেস জোট ছিল৷ এবার তারা আলাদা লড়ছেন৷

কবে প্রথম ভোট হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে?

Advertisement

এই অঞ্চলের অধীনে বিধানসভার সাতটি আসন হল- রানীগর, মুর্শিদাবাদ, ভগবানগোলা, হরিহরপাড়া, করিমপুর ডোমকল এবং জলঙ্গি।

মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে রাজ্যের শাসকদল প্রার্থী করেছে আবু তাহের খানকে। বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন দলে যোগ দেওয়া হুমায়ুন কবীর। কংগ্রেসের প্রার্থী আবু হেনা, অন্যদিকে, বদরুদ্দোজা খানকেই ফের প্রার্থী করেছে সিপিএম।

Advertisement

এই কেন্দ্রে মোট ভোটারসংখ্যা ১৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৬৮৫ জন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৩৬ জন। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৯৫ জন। ‘অন্যান্য' ভোটারের সংখ্যা ২৩ জন।

এই কেন্দ্রের বিরানব্বই শতাংশ বুথেই মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোট ১৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের এই অতি গুরুত্বপূর্ণ লোকসভা কেন্দ্রটিতে। যেখানে আজ মোট ভোট পড়ল ৮১.৪১ শতাংশ। যার ফলাফলের দিকে চেয়ে রয়েছে গোটা রাজ্যের মানুষ।

Advertisement

কী হবে, কে হাসবে শেষ হাসি, তা জানার জন্য সকলকে অপেক্ষা করে থাকতে হবে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত।

Advertisement