This Article is From May 20, 2019

মৌনব্রত নিলেন বিজেপির সাধ্বী প্রজ্ঞা! ফের নাকি মুখ খুলবেন ভোট গণনার দিন

Lok Sabha elections 2019: বিজেপির ভোপাল কেন্দ্রের প্রার্থী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর সোমবার থেকে ‘মৌনব্রত’ ঘোষণা করেছেন।

মৌনব্রত নিলেন বিজেপির সাধ্বী প্রজ্ঞা! ফের নাকি মুখ খুলবেন ভোট গণনার দিন

General elections 2019: ভোপাল আসনে বিজেপির প্রার্থী প্রজ্ঞা ঠাকুর

নিউ দিল্লি:

মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসকে ‘দেশভক্ত' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ওঠা বিতর্কের মাঝেই বিজেপির ভোপাল কেন্দ্রের প্রার্থী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর (Pragya Singh Thakur) সোমবার থেকে ‘মৌনব্রত' ঘোষণা করেছেন। তিনি আজই সকালে টুইট করে আরো একবার ক্ষমা চেয়েছেন। এই নিয়ে একই ঘটনায় দ্বিতীয়বার ক্ষমা চাইলেন বিজেপির এই নেত্রী।

মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বিজেপি প্রার্থী প্রজ্ঞা ঠাকুর (Pragya Singh Thakur) টুইট করেছেন, “নির্বাচনের শেষে এখন শান্ত থাকার সময়। যদি আমার কথায় মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং দুঃখিত, আমি কঠোরভাবে ২১ প্রহর (প্রায় তিন দিন) মৌনব্রত পালন করব।” এর অর্থ তিনি বৃহস্পতিবার মৌনব্রত ভঙ্গ করার পরিকল্পনা করছেন। ওই দিনই জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির এই নেত্রী। 

সন্ত্রাসের অভিযোগে আটটি লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি বুথে পুননির্বাচনের দাবি জানাল বিজেপি

গত সপ্তাহেই প্রজ্ঞা ঠাকুরের একটি বক্তব্য নিয়ে প্রচণ্ড প্রতিক্রিয়া ও বিক্ষোভ দেখা যায়। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নাথুরাম গডস একজন দেশভক্ত ছিলেন, আছেন এবং একজন দেশভক্তই থাকবেন। যে লোকেরা তাঁকে সন্ত্রাসী বলছে তাঁদের উচিৎ নিজের দিকে তাকানো। এই সব মানুষদের নির্বাচনে উপযুক্ত উত্তর দেওয়া হবে।” প্রথমে ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করলেও পরে প্রজ্ঞা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বার্তার পর ক্ষমা চেয়ে নেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাপুর অপমান করার জন্য আমি আমার মন থেকে প্রজ্ঞাকে ক্ষমা করব না।” 

কন্টকাকীর্ণ নয়, মোদির কেদারনাথ ভ্রমণ লাল গালিচার পথে; বিধিভঙ্গের অভিযোগ

কিন্তু বিজেপি এটিও পরিষ্কার করে দিয়েছে যে ২০০৮ সালের মালগাঁও হামলার অভিযুক্ত, প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ নির্বাচনী সভাতেই বলেন, “প্রজ্ঞার প্রার্থীপদে মনোনয়নের অর্থ হচ্ছে গেরুয়া সন্ত্রাসের ভুয়ো মামলার বিরুদ্ধে সত্যগ্রহ।”

গত সপ্তাহে টেলিভিশন চ্যানেলের একটি সাক্ষাত্কারে প্রজ্ঞা ঠাকুর জানিয়েছিলেন গত মাসেও নাকি মৌনব্রত পালন করেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা মানুষদের মধ্যে তিনিও ছিলেন এবং তিনি এ বিষয়ে খুবই গর্বিত। ২৬/১১ মুম্বাই হামলায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত একজন কর্মকর্তা হেমন্ত কারকারেকে তিনি শাপ দিয়েছিলেন বলেই নাকি তাঁর মৃত্যু হয়। এমন দাবিও করেছেন প্রজ্ঞা।

.