পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের আশা কার্যত নস্যাৎ
নিউ দিল্লি: বিজেপিকে হারাতে মহাজোট গড়ার অন্যতম কারিগর কংগ্রেসেই একলা লড়তে চলেছে একাধিক রাজ্যে। তাদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ।
টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবুর নাইডুর সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বৈঠকের পর বুধবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। কংগ্রেস নেতা ওমান চণ্ডী ঘোষণা করেন, লোকসভা এবং বিধানসভা, দুই নির্বাচনেই সেরাজ্যের সমস্ত আসনে লড়বে কংগ্রেস। অন্ধ্রে মোট লোকসভা আসন ২৫ টি এবং বিধানসভা আসন রয়েছে ১৭৫ টি।
সংগঠনে আসছেন, মায়ের জায়গায় ভোটেও লড়তে পারেন প্রিয়াঙ্কা
সুতরাং, অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবুর দল তথা সেরাজ্যের শাসক দল টিডিপির সঙ্গে কোনও জোট হচ্ছে না কংগ্রেসের।তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে দুই দলের জোট হলেও, তাদের পরাজয় হয়।তাদের মধ্যে এখন আর কোনও রসায়ন নেই, একে অন্যের দিকে দায় ঠেলেছে তারা।
মোদী-যোগীর বিরুদ্ধে আসরে নামলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
কংগ্রেসের কাছে, তেলেঙ্গানায় টিডিপির কোনও প্রভাব নেই।অন্যদিকে, নাইডুর কাছে অন্ধ্রে কংগ্রেসের কোনও প্রভাব নেই। পাশাপাশি রাজ্যে ভাগ করা নিয়ে জনমানসে ব্যাপক ক্ষোভ জমা রয়েছে।অন্যদিকে ধীরে ধীরে প্রভাব বাড়াচ্ছে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগনমোহন রেড্ডি।
এই রাজ্যকে কংগ্রেস সরকারের থেকে বেশি অর্থ দিয়েছে বিজেপি সরকার, বললেন স্মৃতি ইরানি
২০১৪ বিধানসভা নির্বাচনের পাশাপাশি লোকসভাতেও কংগ্রেসের ভাল খারাপ হয়।দলের তরফে হিসেব হয়, যদি সে রাজ্যে তারা নিজেদের জগনমোহন রেড্ডির বিকল্প হিসাবে তুলে ধরতে পারে, এবং টিডিপি বিরোধী ভোট ভাগ করতে পারে, তবেই সেখানে নিজেদের উন্নতি করতে পারবে তারা।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস চায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও বোঝাপড়া হোক। তবে ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে বিরোধীদের সভায় সমর্থন জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দলের তরফে দুই নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিকে ব্রিগেডের সমাবেশে পাঠিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, শ্লোগান, আমেঠিতে
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতির আঙিনায় আবির্ভাবের পর থেকে চনমনে কংগ্রেস শিবির।উত্তরপ্রদেশে প্রিয়াঙ্কার অভিষেক হয়। তারপরেই রাহুল গান্ধী বলেন, “কংগ্রেস কোথাও পিছিয়ে খেলবে না, সব জায়গাতেই সামনে থেকে খেলবে”।
দলের নেতারা অবশ্যে বলছেন, মহারাষ্ট্রে শরদ পাওয়ারের এনসিপি, কেরালার ইউডিএফ, তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনের ডিএমকে, কর্ণাটকের জনতা দল সেকুলার, বিহারে আরজেডি এবং ঝাড়খণ্ডের জেএমএমের সঙ্গে জোট গড়ার পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস।